বাংলাদেশ ও তিমুর লেস্তে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের মতো পারস্পারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে সম্মত হয়েছে।
আজ (৩০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবারে তিমুর লেস্তের রাজধানী দিলিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তিমুর লেস্তের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আগিও পেরেইরার বৈঠকে দু’পক্ষ এ ব্যাপারে সম্মত হয়।
ড. মোমেন ২৮ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট তিমুর লেস্তে এক সরকারি সফর করেন। দূর-প্রাচ্যের দেশটিতে বাংলাদেশের কোন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এটা প্রথম সফর।
বৈঠককালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসিয়ান জোটের নতুন সদস্যভুক্ত হওয়ায় তিমুর লেস্তেকে অভিনন্দন জানান। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রী আসিয়ানে সেক্টরাল ডায়লগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিতে তিমুর লেস্তের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারিদ্র দূরীকরণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন, ডিজিটালাইজেশন, খাদ্য ও জ্বালানী নিরাপত্তায় ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। এর প্রভাবেই দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ ও ‘গৃহহীনদের জন্য বাসস্থান’ এর মতো উদ্ভাবনের মাধ্যমে সমাজের ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণীর মানুষের অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।
এ সময় পেরেইরা তিমুর লেস্তেতে ড. মোমেনের প্রথম সফরের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও অর্থনৈতিক সাফল্যের প্রশংসা করেন। তিনি তিমুর লেস্তের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে নিয়োজিত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের অবদানের জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দুই মন্ত্রী তিমুর লেস্তে গার্মেন্টস কারখানা স্থাপন, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ ও পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোর মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সুযোগ অন্বেষণের জন্য নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পেরেইরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী, আইনপ্রণেতা ও কূটনৈতিকদের উপস্থিতিতে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি