বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আপেল আমদানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের পরে চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে মেক্সিকো ও মিশর। স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির ফলেই বাংলাদেশ আজ এ অবস্থানে এসেছে।
মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ দুই লাখ ৭১ হাজার টন আপেল আমদানি করেছে, যা রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর তৃতীয় সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদনে আরো দেখা গেছে, মেক্সিকো ও মিশরে আপেল আমদানির হার বিশ্বব্যাপী ৫৯ দশমিক ৪ লাখ টন। যা আপেল আমদানির পাঁচ শতাংশ।
এদিকে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফআইএ) সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সরকারের উদ্যোগে ভেজালের ভয়াবহতা হ্রাস পাওয়ায় লোকজন তাজা ফল খেতে আগ্রহী হচ্ছেন। বিষাক্ত রাসায়নিক ফরমালিনের কারণে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মানসম্পন্ন ফল পাওয়া নিয়ে ক্রেতাদের মনে দুশ্চিন্তা ছিল।
তিনি আরো বলেন, দেশীয় উৎপাদনের অভাবে ফলের জনপ্রিয়তা আমদানি বাড়িয়ে দেবে। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কিছু ইউরোপীয় দেশের চেয়ে চীন আমদানিকারকদের জন্য আপেলের সবচেয়ে বড় উৎস।
অন্যদিকে ইউএসডিএ’র ধারণা, আগের বছরের চেয়ে ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে গত অর্থবছরে আপেল আমদানির পরিমাণ দুই লাখ ৭১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সেটি দুই লাখ ৮০ হাজার টনে পৌঁছুতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। সুত্রঃ মার্কিন কৃষি বিভাগ(ইউএসডিএ) ।