২০২০ সালে অর্থনীতিতে এশিয়ার সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বাংলাদেশ। এমন পূর্বাভাস দিয়ে সোমবার (৮ অক্টোবর) ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। যদিও একই সময়ে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে বলেও জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ। সংকট মোকাবিলায় ভারত বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে শক্তিশালী মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের আহ্বান জানান তিনি।
আইএমএফ এর প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ জানালেন, সামনের দিনগুলোতে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। চলতি বছরের তুলনায় ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি কমতে পারে দশমিক ৫ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ বলেন, যে কোনো দেশেই প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে শক্তিশালী মুদ্রানীতি একটা বড় ভূমিকা রাখে। দুঃখজনক হলেও সত্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সফলতা দেখাতে পারছে না। এখানকার আর্থিক খাতের নীতিমালাগুলো ঘন ঘন পরিবর্তন হয়। স্বাভাবিক ভাবে প্রবৃদ্ধি কিছু কমছে ঠিকই, কিন্ত শেষ হয়ে যাওয়ার মতো সময় হয়নি। সুতরাং এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে সবাইকে।
যদিও প্রতিবেদনে খুশি হওয়ার মতো উপলক্ষ রয়েছে বাংলাদেশের জন্য। আইএমএফ বলছে, চলমান প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে ২০২৪ সাল নাগাদ। যদিও এক্ষেত্রে শক্তিশালী মুদ্রানীতি আর আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার আহ্বান আইএমএফের।
গীতা গোপীনাথ বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় বাড়ানো খুব জরুরি। কারণ কাউকে পেছনে ফেলে অর্জিত উন্নয়ন টেকসই হয় না। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় ও অর্থনীতির দেশগুলো এক ধরনের আধিপত্য দেখাচ্ছে, এটা ঝুঁকিও তৈরি করছে।