চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে রমজানের রোজা কবে থেকে রাখা হবে তা নির্ধারণ করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে আগামী ১১ বা ১২ মার্চ নতুন চাঁদ দেখা গেলে তারপর দিন থেকে রোজা পালন করা শুরু হবে। মধ্যপ্রাচ্যে শুরু হবার একদিন পর থেকে রোজা পালন শুরু করে বাংলাদেশ।
তবে আরব আমিরাতভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের কোথাও খালি চোখে বা টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। তবে পরের দিন ১১ মার্চ আকাশ পরিস্কার থাকলে খালি চোখেই সৌদিসহ অন্যান্য আরব দেশে স্পষ্টভাবে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা যেতে পারে।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও ১১ মার্চ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও খালি চোখে চাঁদ দেখা সম্ভব বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা ‘ক্রিসেন্ট মুন ওয়াচ’। এর অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবে এ বছর একই দিনে চাঁদ দেখা যেতে পারে।
চাঁদ দেখতে পাওয়ার কিছু নির্ণায়ক রয়েছে। প্রথমটি হলো- সূর্য অবশ্যই দিগন্তের নিচে থাকতে হবে। এর কারণ, নতুন জন্ম হওয়া অস্পষ্ট অর্ধচন্দ্র দেখতে হলে পর্যাপ্ত অন্ধকার প্রয়োজন। দ্বিতীয় হলো- চাঁদকে অবশ্যই দিগন্তের ওপর থাকতে হবে।
আর তৃতীয়টি হলো- আকাশে চাঁদ এবং সূর্যের মধ্যে পর্যাপ্ত ব্যবধান থাকতে হবে। এই ব্যবধানটিকে ‘ডানজন লিমিটি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। যেটি নির্দেশ করে চাঁদ এবং সূর্য ৫-৭ ডিগ্রি আলাদা রয়েছে। যেটি হিসাব করা হয় হাতের তিনটি আঙ্গুল রাখলে যতটুকু প্রশস্ত হবে ততটুকু দিয়ে।
এখন প্রশ্ন হলো ওইদিন বাংলাদেশে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা কতটুকু। সময় বিষয়ক সংস্থা ‘টাইম অ্যান্ড ডেটের’ তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১১ মার্চ বাংলাদেশে চাঁদ ওঠবে সকাল ৬টা ৪৭ মিনিটে। আর চাঁদ অস্ত যাবে সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে। অপরদিকে সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে।
সূর্য অস্ত যাওয়ার পর ৭টা ১৪ মিনিটে রাত নেমে আসবে না। তবে ওই সময় অন্ধকার নেমে আসবে এবং সূর্য দিগন্তের নিচে থাকবে। ওই সময় চাঁদ দিগন্তের ওপরে থাকবে।
তবে ঐদিন সূর্যাস্তের পর চাঁদ খালি চোখে দেখা যাবে কি না সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়। সেটি ঐদিনই বোঝা যাবে।
সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশে একদিন আগে পরে রোজা ও ঈদ হয়ে পালন হয়ে থাকে। পুরোনো রীতি অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনো রমজান মাস শুরুর জন্য খালি চোখে চাঁদ দেখার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম