উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, আমি তাদের নিয়ে চলব।
রোববার (২ জুন) গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। পরিবারের সবাই সেটা জানতেন, কিন্তু স্বাধীনতার কথা মুখে বলা বারণ ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর, ৬ বছর নির্বাসনে ছিলাম। সেসময় জয়-পুতুল খুব দেশে আসতে চাইত। কিন্তু আমাদের দেশে আসতে দেওয়া হয়নি।
সরকারপ্রধান বলেন, দেশে কিছু লেক এমন আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা শুধু নিজেদের আরাম-আয়েশের দিকে বেশি তাকায়। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ শক্তিশালী হবে, সিদ্ধান্ত নেবে, ক্ষমতাসীন হবে–এটা তারা মানতে পারে না।
তিনি বলেন, অনেকেই স্যাটেলাইটের সমালোচনা করছেন। তারা আসলে কিছু ভালো না-লাগা গ্রুপ। আবার কিছু তৈরি হয়ে গেলে খুব মজা করে তারা ব্যবহার করেন।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। রেহানা ও আমি ছেলেমেয়েদের একটা জিনিস শিখিয়েছি যে, তোমাদের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারব না। তোমাদের একটাই সম্পদ, সেটা হলো শিক্ষা। এটা অর্জন করলে কেউ ছিনতাই-হাইজ্যাক করতে পারবে না। কেননা, জ্ঞান তো কেড়ে নেওয়া যায় না৷
শেখ হাসিনা বলেন, এক শ্রেণি ছিল যারা সবসময় অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আর তাদের সঙ্গে ইন্ধন জোগায় স্বাধীনতাবিরোধী দেশগুলো, যারা সেভেন ফ্লিট পাঠিয়েছিল। তাদের কাছে বাংলাদেশের বিজয় গ্রহণযোগ্য ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তান আমলে স্বামীর কর্মস্থল ইতালি যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে ভিসা পেতাম না৷ তারপর করাচি গিয়ে ভিসা করে যেতে হতো৷ এখান থেকে কোথাও যাওয়া যেত না৷ সবকিছুই হতো করাচি কেন্দ্রিক৷
নিজে নিজের কাজ করায় কোনো লজ্জা নেই মন্তব্য করে প্রতিযোগীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘করোনার সময় আমি আর রেহানা নিজেরাই ঘর মোছা, কাপড় কাচা, রান্নাসহ সব কাজ নিজেরা করেছি৷ কাজ করতে কখনও লজ্জাবোধ করি না৷’
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম