আজকাল উদ্যোক্তারা যে যে খাতে কাজ করেন নিজেদের সেই খাতেই বিশাল সম্ভাবনা দেখেন বাংলাদেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রি ও তার ভবিষ্যৎ। যার বাস্তবিকতা হয় সম্পূর্ণ ভাবে ভিন্ন। তবে এসব খাতের মধ্যে একটি খাতকে খুব সুন্দর ধাবমান গতিতে শীর্ষে উঠে আসতে দেখা যাচ্ছে, সেটা হলো তথ্যপ্রযুক্তি খাত।
তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আইটি ইন্ডাস্ট্রি একটি নতুন শিল্প খাত। তবে এ খাত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রবৃদ্ধিশীল খাত।
বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে এই খাতের আইটি ইন্ডাস্ট্রিগুলো সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে। যদিও বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সফলতার এই ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়; কিন্তু তবুও সে তুলনায় আইটি ইন্ডাস্ট্রিগুলো এদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখার মত একটি ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে খুব দ্রুত লোক সম্মুখে উঠে এসেছে।
এখন জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রিগুলোর বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ সুযোগগুলো।
আজ থেকে বিগত প্রায় দশ বছরের আগের আইটি ইন্ডাস্ট্রি আর এখনকার আইটি ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে রয়েছে বিরাট ব্যবধান। এই দশ বছরের বিরাট ব্যবধানে প্রযুক্তির যেমন পরিবর্তন হয়েছে, তেমনই পরিবর্তন হয়েছে মানুষের চিন্তাধারারও। আর এই চিন্তাধারা এভাবে অব্যাহত থাকলে খুব দ্রুত সময়ের ভেতর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপ নিবে। কারন তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে প্রযুক্তির উন্নয়নের উপরই নির্ভর করে ধারণা করা যায় ঐ দেশ কতটা উন্নত।
বর্তমান এই যুগে বাংলাদেশের আইটি খাতে দক্ষ লোকবলের অভাব নেই। আগে একটা সময় ছিলো সীমিত লোকজন আইটি তে কাজ করত। কিন্তু এখন এই সেক্টরে কাজ করার জন্য সকল শ্রেণি, পেশার লোকের মাঝেই বিপুল আগ্রহ থাকে। এছাড়াও সরকারও এই খাতকে আরও প্রশারিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ট্রেইনিং প্রোগ্রাম নিয়ে। মূলত সরকারের লক্ষ্য হল, দেশের প্রযুক্তির উন্নয়ন করা এবং দেশীয় দক্ষ জনবলকে আরো দক্ষ করে বাইরের দেশের প্রযুক্তির সাথে যারা কাজ করছেন তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দিক থেকে আমাদের দেশে এ খাতের অবস্থান হচ্ছে তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রি ও তার ভবিষ্যৎ। আর আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই খাতই দেশের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হবে এমন সম্ভাবনা প্রবল। বাংলাদেশে আইটি খাত দিনদিন যেভাবে বিকশিত হচ্ছে, আর কোনো খাতই সেভাবে বিকশিত হচ্ছে না। তবে এর সাথে এই খাতে বিদ্যমান রয়েছে নানা সমস্যাও। এরপরও মোটামুটিভাবে সকলেই আইটি খাত নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী।
সময়ের সাথে সাথে আগের তুলনায় বাংলাদেশে সফটওয়্যার রপ্তানি বাড়ছে। আর বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং দেশ। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে প্রথম স্থানটি দখল করতে সক্ষম হবে। মোটকথা, বাংলাদেশের আইটিশিল্প দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রি ও তার ভবিষ্যৎ। তবে এ কথাও স্বীকার করতে হয় যে, আমরা প্রত্যাশিত মাত্রায় এগিয়ে যেতে পারছি না।
এই বিদ্যমান সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করতে হলে, একজোটে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সবাই এগিয়ে এলে, তবেই বাংলাদেশ হতে পারবে সম্পূর্ণ রূপে আইটিসমৃদ্ধ একটি দেশ।