যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ডোরাভিল সিটি কাউন্সিলের মেয়র পদে লড়ছেন বাংলাদেশি-আমেরিকান প্রার্থী এম ডি নাসের। তিন বছর আগে একই সিটি কাউন্সিলের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কাউন্সিলম্যান পদে এই অঞ্চলের মূলধারায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস রচনা করেছিলেন নাসের।আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) মেট্রো আটলান্টার ওই সিটি কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এম ডি নাসের বলেন, সবার সহযোগিতায় গত ২০১৫ সালে আমি এই ডোরাভিল শহরের কাউন্সিলম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সেবা কাজে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেই মেয়াদ আমি সফলভাবে শেষ করেছি। তাই এ দেশের মূলধারার জনগণের সেবা কাজে নিজেকে আরও সক্রিয় করার প্রত্যাশা নিয়ে এবার আমি মেয়র পদে দাঁড়িয়েছি।তিনি আরও বলেন, গতবারের মতো বাংলাদেশি ও অন্যান্য অভিবাসী গোষ্ঠীর ভোটাররা আমাকে ভোট দিলে আমার বিশ্বাস, আমি মেয়র পদেও নির্বাচিত হয়ে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে সক্ষম হবো। এজন্য আমি এই শহরের বাংলাদেশিসহ সব ভোটারের সমর্থন কামনা করছি”।এদিকে ডোরাভিলের মেয়র পদে গত আট বছর ধরে দায়িত্ব পালনকারী নারী মেয়র ডোনা পিটম্যান এবারও এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে নাসের ছাড়া আরও দুইজন হলেন জোসেফ গ্যারমান ও টম হার্ট। তাদের মধ্যে জোসেফ ২০১৭ সালে কাউন্সিলম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি এবার মেয়র পদে লড়ছেন। অন্যদিকে টম এক যুগেরও বেশি আগে সিটি কাউন্সিলে ছিলেন, তবে এরপর তিনবার মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েও জয়ী হতে পারেননি তিনি।আট বছর আগের জনশুমারি অনুযায়ী, ডোরাভিল শহরের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ হাজার। এর মধ্যে অর্ধেক হিস্পানিক, শতকরা ১৫ ভাগ এশিয়ান, ১১ ভাগ কৃষ্ণাঙ্গ ও বাদবাকি শ্বেতাঙ্গ নাগরিক বাস করেন। তবে এই জনসংখ্যা বর্তমানে পরিবর্তিত হয়ে এশিয়ান ও কৃষ্ণাঙ্গের হার আরও বেড়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। আর এই হিসেবকে বিবেচনায় রেখে এম ডি নাসের অভিবাসীদের অধিকাংশ ভোট নিশ্চিত করতে পারলে জয়ের সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে অনেকের ধারণা করছেন।উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা নোয়াখালীর সন্তান ৩৮ বছর বয়সী নাসের ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং গত ১২ বছর ধরে তিনি আইন প্রয়োগকারী সরকারী সংস্থা ডিকাব কাউন্টির শরীফ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যেই তিনি শুরু থেকে বসবাস করছেন। কর্মজীবনের ফাঁকে ফাঁকে মূলধারার জনসেবাসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা কর্মকাণ্ডে সর্বদাই সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন নাসের।