মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে শত শত মানুষ।
প্রবাসীরা বলছেন, দেয়াল নির্মাণে বাংলাদেশিরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও সামগ্রিক অভিবাসন ব্যবস্থায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে মানুষ।
শুক্রবার রাতে নিউইয়র্কে ট্রাম্প হোটেলের সামনে হাজারো প্রতিবাদকারী জড়ো হয়। তারা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্লোগান দিকে থাকে।
ট্রাম্পের এই জরুরি অবস্থা জারির ফলে সরাসরি বাংলাদেশিরা ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও অভিবাসী কমিউনিটি হিসেবে সবার মাঝেই উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দেয়াল নির্মাণের সিদ্ধান্তকে অনেকেই অজুহাত হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে জয়ী হতে এটি ট্রাম্পের একটি রাজনৈতিক ইস্যু।
সাপ্তাহিক পরিচয়ের সম্পাদক নাজমুল আহসান বলেন, সে যে দেয়াল করার ফান্ড চাচ্ছেন, আসল বিষয় সেটা না। ওনার মূল টার্গেটটা হচ্ছে ২০২০ সালের নির্বাচন। আরেকবার ক্ষমতায় আসার জন্য ওনার একটা ইস্যু দরকার।
অস্ত্র, মাদক ও সন্ত্রাসীদের আগমন বন্ধ করতে ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি করেন। সেই সাথে ঘোষণা জারি করেন দক্ষিণ সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে যে আট বিলিয়ন ডলারের মতো ব্যয় হবে তা তিনি বিভিন্ন খাত থেকে আদায়ের মাধ্যমে তহবিল গঠন করতে চান।
প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা তো বটেই খোদ তার দল রিপাবলিকান অনেক সদস্যও মানছেন না।