বাংলাদেশকে ৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে আইএমএফ বা আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল। সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিপত্রের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) ঘাটতি মোকাবেলার সহায়তা হিসেবে এ অর্থ দেয়া হবে। এতে গড় সুদের হার হবে ১ শতাংশের কম।
আইএমএফের ঋণে কঠিন শর্ত থাকলেও এ ক্ষেত্রে তেমন কোনো কঠিন শর্ত থাকবে না। দীর্ঘমেয়াদি এ ঋণের অর্থ সরকার তার প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারবে।
সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যে আইএমএফ সদস্য দেশগুলোর আর্থিক ক্ষতি মোকাবেলায় ১০ হাজার কোটি ডলারের একটি তহবিল তৈরি করেছে। এ তহবিল থেকে সদস্য দেশগুলোকে বিশেষ ঋণ সহায়তা দেয়া হবে কম সুদে এবং সহজ শর্তে। কেননা আইএমএফ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট মহামারীকে ১৯৩০ সালের মহামন্দার পর সবচেয়ে খারাপ সময় বলে অভিহিত করেছে। এ সংকট কাটাতে তারা বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়াতে বলেছে। এ কারণেই আইএমএফ সদস্য দেশগুলোকে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে।
চলতি বছরের জন্য আইএমএফের কাছে বাংলাদেশের ঋণের কোটা রয়েছে প্রায় ১৪৬ কোটি ডলার। অর্থনৈতিক সক্ষমতা অনুযায়ী আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ ১২০ কোটি ডলার ঋণ পেতে পারে। কেননা আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে অর্থনৈতিক সূচকগুলোর অবস্থা বিবেচনায় নেয়া হয়।
এর মধ্যে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে করোনার প্রভাব মোকাবেলার জন্য ইতোমধ্যে ৭০ কোটি ডলার চেয়েছে। যা আইএমএফের কাছে ঋণের কোটা, পাওয়ার সক্ষমতার বিবেচনায় বেশ কম।
এর আগে আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ সর্বশেষ ২০১২ সালে ৯৮ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল। এর মেয়াদ ২০১৫ সালে শেষ হয়েছে।
এরপর থেকে আইএমএফের সঙ্গে সরকারের কোনো ঋণ চুক্তি নেই। তারা বাংলাদেশকে ঋণ দিতে নানা প্রস্তাব দিলেও সরকার তা নেয়নি। কারণ ওই সময়ে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার কোনো ঘাটতি ছিল না। মূলত বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি দেখা দিলেই আইএমএফ থেকে ঋণ নেয় বাংলাদেশ।