রাজনীতির চলতি ধারার সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান ছিল সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতির অভিযোগ কখনোই শোনেননি কেউ। এমনকি কথাবার্তাতেও ছিলেন পরিমিত। পারিবারিক ভাবেই আওয়ামী লীগের হাত ধরে বেড়ে ওঠা সৈয়দ আশরাফ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে আওয়ামী লীগকে সামলেছেন বহু দুর্যোগে-দুর্বিপাকে।
সেই থেকে সৈয়দ আশরাফের দৃঢ়তায় ভরসা পায় আওয়ামী লীগ। ২০০৯ ও ১২ সালের কাউন্সিলে আশরাফ দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৩ তে হেফাজতের তাণ্ডব সামাল দেয়াসহ ১৪র নির্বাচনে দেশি বিদেশী নানা চাপ দক্ষ হাতে সামাল দেন সৈয়দ আশরাফ।
গুণী এই রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৫২ সালের পয়লা জানুয়ারি ময়মনসিংহে। যোগ্য পিতার আদর্শ সন্তান সৈয়দ আশরাফের নামে কখনোই কেউ দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারেনি। ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় আশরাফ ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
৭৫ এ সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাজ্যে চলে যান সৈয়দ আশরাফ। সেখানে তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
৯৬ এ দেশে ফিরে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০০১, ৮ ও ১৪ সালের নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ জয় পান আশরাফ। হাসপাতাল থেকে এবারো অংশ নেন নির্বাচনে। তার প্রিয় কিশোরগঞ্জবাসী তাকে ফেরাননি। নির্বাচিত করেন সংসদ সদস্য হিসেবে।