মো.আমিন আহমেদ, সিলেটঃ নগরীর বন্দরবাজার এলাকার সন্ধ্যা বাজারস্থ কারারক্ষীদের পরিত্যক্ত কোয়াটারের সামনে ৩ জন ছিনতাইকারী প্রকাশ্যে অস্ত্র ধরে টাকা ছিনতাই করার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৮ টার দিকে অফিস শেষে বাসায় ফেরার সময় সাংবাদিক মোহাম্মদ হানিফকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ বিশ হাজার টাকা ছিনতাই করে। পরে জনতার দাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
ছিনতাইয়ের খবর পেয়ে সাথে সাথে কোতোয়ালী থানার ওসির নির্দেশে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোস্তাফিজুর রহমান একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে যান এবং বিষয়টি অবগত হন।
এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাংবাদিক মোহাম্মদ হানিফ বাদি হয়ে এসএমপির কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে আসামিরা হলেন, নগরীর চিহিৃত ছিনতাইকারী ও ভারতীয় তীর জুয়ার সম্রাট ডালিম, একাধিক মামলার আসামি ও চিহিৃত ছিনতাইকারী কালা শফিক ও ছিনতাইকারী মিজান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা বাজারস্থ পরিত্যক্ত কারারক্ষী কোয়াটারের ভিতরে সিলেট নগরীর চিহিৃত ছিনতাইকারী, জুয়াড়ী ও মাদক সেবীদের আস্তানা গড়ে উঠেছে।বাধাঘাটে নতুন কারাগার হওয়ায় কারারক্ষীরা সেখানে বসবাস করছেন। আর এই সুযোগে জুয়াড়ী ও মাদকসেবীরা বেছে নিয়েছে পরিত্যক্ত এই কোয়ার্টার। পাশে কাষ্টঘরের সুইপার কলোনীর লোকজন প্রতিনিয়ত এখানে মদ পানে মাতাল হয়ে আড্ডা দিয়ে থাকে। এখন এই কোয়ার্টার সকল অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য।
ছিনতাইকারী ডালিম এর নেতৃত্বে কোয়াটারের ভিতর প্রতিদিন বসে জুয়ার আসর। এই জুয়ার আসরে সকল অপরাধীরা অংশ নেন। কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। স্থানীয় থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে সর্বদাই অভিযান অব্যহত রেখেছে। ডালিম ও তার সহযোগীদের একাধিকবার অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। জামিনে বেরিয়ে ফের শুরু করে জুয়ার আসর।রাতের অন্ধকারে কোয়াটারের ভিতরে ছিনতাইকারীদের আড্ডা জমে। কোন ভালো লোক এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতেও ভয় পায়। ছিনতাই করে এই ঘর গুলোর ভিতরেই স্থান নেয় ছিনতাইকারীরা। এটা ছিনতাইকারীদের নিরাপদ স্থান।
এত কিছুর পর কারাকর্তৃপক্ষ এই পরিত্যক্ত কোয়াটারের কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। যার ফলে দিন দিন এই এলাকায় ঘটছে বড় বড় অপরাধ মূলক কর্মকান্ড।
এসএমপির কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ ছিনতাই ও অভিযোগ পাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমারা ইতিমধ্যে অভিযান শুরু করেছি। শীঘ্রই এই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।