জাতীয় ডেস্কঃ দিনাজপুরের পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা খনিতে ৫০জন চীনা ৪০জন বাংলাদেশী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার (৩০ জুলাই) সকাল থেকে এ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
খনি সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ৩ মাস কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকার পর গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান খনির ১৩০৬ নম্বর নতুন ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলনের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় খনির ৩০০ চীনা ও ৪০০ স্থানীয় শ্রমিকদের নিয়ে পরীক্ষমূলকভাবে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করা হয়। তিন দিনে প্রায় ৫হাজার মে.টন কয়লা উত্তোলন করতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি।
তবে হঠাৎ খনিতে কর্মরত চীনা শ্রমিকদের মাঝে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। দুই ধাপে খনির ৪৩১ চীনা শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করা হলে ৫০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ খনির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি চীনা শ্রমিকদের সাথে কাজ করা স্থানীয় ৩০০ শ্রমিককে ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠান। তবে খনিতে কর্মরত চীনা শ্রমিকদের সংস্পর্শে নেই এমন শতাধিক শ্রমিক খনির ভেতরে এখন কাজ করছেন।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, একটি নতুন ফেজ চালু করার পর তা পুরোপুরি উৎপাদনে আসতে কিছু সময়ের প্রয়োজন হয়। খনির ১৩০৬ নম্বর নতুন ফেজ ৮৩টি হাইড্রোলিক পাওয়ার সাপোর্ট রয়েছে। সেগুলোরও কাজ চলছে। মূলত খনিতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, খনি থেকে বের করে দেয়া স্থানীয় শ্রমিকদের আবারও করোনা পরীক্ষা শেষে নেগেটিভ আসলে তাদের কাজে নিয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার মে.টন কয়লা মজুদ আছে কোল ইয়ার্ডে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পুনরায় কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে।