জাতীয় ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে ১৭ থেকে ১০৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস হাইড্রেট বা মিথেন গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স বিভাগ। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ খবর হলো বাংলাদেশের জলসীমায় মিলেছে ২২০ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবালের সন্ধান। সামুদ্রিক শৈবালের মধ্যে মাছ ও পশু খাবারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক উপাদান রয়েছে। এছাড়া ২শ ২০ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবালের সন্ধান মিলেছে সমুদ্র তলদেশে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৮ হাজার কোটি টাকা।
গতকাল বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ সুসংবাদ দেয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইমস অ্যাফেয়ার্স গত ৩ বছর ধরে জরিপ চালায় বঙ্গোপসাগরে। সেখানেই সন্ধান মিলেছে ১৭ থেকে ১০৩ ট্রিলিয়ন গ্যাস হাইড্রেট বা মিথেন গ্যাসের।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট সচিব মো. খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, গবেষণা অনুযায়ী আমরা নূনতম ১৭ ও সর্বোচ্চ ১০৩ ঘনফুট গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছি।
যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় চালানো এই গবেষনা ২০১২ সালের সমুদ্র বিজয়ের পরে সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত যে দুটি গবেষণাই সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। আগামী শতকে জ্বালানি সংকট নিরসনে এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানির উৎস হিসেবে গ্যাস হাইড্রেটের এই বিশাল মজুদ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি যুগান্তকারী ঘটনা পরিবেশ বান্ধব জ্বালানির উৎস হিসেবে এরকম বিশাল গ্যাস হাইড্রেট ভবিষ্যতের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে। আমরা আশা করছি অতি দ্রুত এই গ্যাস হাইড্রেট উত্তোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ জ্বালানি ক্ষেত্রে নতুন যুগে প্রবেশ করবে। আর সমুদ্রাঞ্চলে গ্যাস হাইড্রেট ও মেরিন জেনেটিক রিসোর্সের বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে বিশেষ তদারকি করছে সরকার।