সাবিক ওমর সবুজ, বগুড়া: বগুড়ার আদমদীঘিতে ঘুমন্ত অবস্থায় রহস্যজনক আগুনে পুড়ে শামীমা বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে তবে একই সঙ্গে স্বামীও ঘুমিয়ে ছিলেন ঐ ঘরে। পুলিশ শুধু ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করলেও নিরুদ্দেশ রয়েছেন তার স্বামী আজাদুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ভোর রাতে আদমদীঘি উপজেলার বসিপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আজাদুর রহমান ৬ বছর আগে বসিপুর গ্রামে জমি কিনে ২টি টিনের ঘর নির্মাণ করে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। আজাদুর পেশায় কাচাঁমাল ব্যবসায়ী। তার বড় ছেলে নওগার রানীনগরে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। মেয়েকেও অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন। বসিপুর গ্রামে শুধু তারা স্বামী- স্ত্রী বসবাস করতেন।
আজাদুরের ছেলে রাকিব জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে মা শামীমার সঙ্গে কথা হয়। সে সময় তার বাবা ঘুমিয়ে ছিলেন।
আদমদীঘি থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ভোর রাত ৩টার পর আজাদুরের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বসিপুর গ্রামটি নওগাঁ সদর থানা সংলগ্ন হওয়ায় প্রথমে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ ও নওগাঁ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও দুইটি ঘরের আসবাপত্র ভস্মীভূত হয়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আদমদীঘি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুনে পোড়া শামীমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। কিন্তু তার স্বামী আজাদুরের মরদেহ পাওয়া যায়নি এবং তার কোন সন্ধানও পাচ্ছে না পুলিশ।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। আজাদুরের ছেলের ভাষ্য অনুযায়ী তার বাবা ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। কিন্তু তার মরদেহ সেখানে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ঘটনাটির অনুসন্ধান চলছে।