গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ঈদের পর থেকেই বগুড়ায় সরক্রি মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এছাড়া বহির্বিভাগ রোগীর সংখ্যা দ্বীগুণ হয়ে গেছে সেই সাথে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গত দুদিন ধরে অনেক রোগী ভর্তি দেখা যায়। তাদের অধিকাংশই ঠান্ডা ও জ্বরে আক্রান্ত।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. ওয়াদুদ জানান, দিন দিন গরমের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে ঈদের পর থেকেই রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শফিক আমিন কাজল বর্তমানে পরিস্থিতি মোকাবেলায় কিছু পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়াই ভালো। প্রয়োজনে বের হলে ছাতা ব্যবহার বা যথা সম্ভব রোদ থেকে নিজেকে রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সেইসাথে বেশি বেশি পানি পান করতে বলেন তিনি।
এদিকে জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ আলম বলেন, শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও গত সপ্তাহের মঙ্গলবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরো বলেন, তাপমাত্রা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:০৮ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান (বাপ্পি)