চা শ্রমিকরা বকেয়া মজুরি হিসেবে জনপ্রতি ১১ হাজার টাকা করে পাবেন বলে গত বুধবার রাজধানীর বিজয়নগর শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশীয় চা সংসদ (মালিকপক্ষ) এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের সাথে মতবিনিময় শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এ ঘোষণা দিয়েছেন। পরে রাতেই শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি থেকে পরিশোধ সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসনে বাংলাদেশীয় চা সংসদ (মালিকপক্ষ) এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন (শ্রমিকপক্ষ) এর সাথে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান মতবিনিময় করেন। এরপর তিনি চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি থোক হিসেবে পরিশোধের জন্য জনপ্রতি ১১ হাজার টাকা নির্ধারণ করে ঘোষণা করেন।
এই সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সিলেটে চা শ্রমিকদের মাঝে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি নন সিলেটের অনেক চা শ্রমিকরা। শ্রমিকরা বলছেন, তাদের অনেকেরেই বকেয়া মজুরি ১১ হাজার টাকার বেশি আছে। এই ১১ হাজার দিলে বাকি টাকা না পাবার সম্ভবনা আছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালি সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি হওয়ার কারন নেই। আমার নিজেরই বকেয়া মজুরি ২৯ হাজার টাকা পাওনা আছে। আর পাচ্ছি মাত্র ১১ হাজার টাকা। বাকি ১৮ হাজার টাকা কি পাবো না?
রাজু গোয়ালা আরো বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছিলাম। সরকারের কাছে আমাদের দাবি তুলে ধরেছিলাম। সেই প্রেক্ষিতেই এই ১১ হাজার টাকা বকেয়া মজুরি দেয়া হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তে আমদের সাধারণ চা শ্রমিকরা খুশি হবেন না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্তা আছে, তিনি আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৫০ বৃদ্ধি করে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। সেই সঙ্গে মজুরি নির্ধারণের পাশাপাশি বার্ষিক ছুটি, বেতনসহ উৎসব ছুটি, অসুস্থতা ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেরদিন থেকেই চা শ্রমিকরা যথারীতি বর্ধিত মজুরিসহ বর্ধিত অন্যান্য সুবিধাদি পেয়ে আসছেন। তবে শ্রমিকরা ২০২১ এর জানুয়ারী থেকে ২৭ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত সময়ের জন্য বর্ধিত মজুরির বকেয়া দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান