ফেসবুক বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মানুষের যৌন স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা আটকাতে। রূপান্তরিত হতে উসকানি দেওয়া। কিংবা লিঙ্গ পরিবর্তনের পদ্ধতি জোর করে বাতলে দেওয়া। অথবা মগজধোলাই করে যৌন দৃষ্টিভঙ্গিতে বদল আনা। এবার থেকে ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামে এই সংক্রান্ত কোনও ধরনের পোস্ট করা যাবে না। বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল দুই জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।
সম্প্রতি নিজেদের পলিসিতে একাধিক বদল এনেছে মার্ক জুকারবারর্গের সংস্থা। কী ধরনের লেখা বা খবর পোস্ট ফেসবুকে করা যাবে, কিংবা কী ধরনের ছবি পোস্ট করলে ইউজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমন অনেক বিষয়ই পলিসিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানেই নয়া সংযোজন গে কনভারশন থেরাপি বা যৌন রূপান্তরের বিষয়টি। ইনস্টাগ্রামের তরফে তারা হপকিংস বলেন, “আমরা চাই না এই প্ল্যাটফর্মে কেউ কারও যৌন দৃষ্টিভঙ্গি কিংবা পরিচিতি নিয়ে আক্রমণের মুখে পড়ুক। কেউ যাতে এমন কাজ করতে না পারে, তার জন্যই পলিসিতে বদল এনে এ ধরনের পোস্টের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।”
তিনি আরও জানান, কোর ইস্যুস ট্রাস্ট নামে ব্রিটেনের একটি ধর্মীয় গ্রুপ রূপান্তরিত করার বিষয়ে নানা প্রচার করেছিল ইনস্টাগ্রামে। সেই সমস্ত পোস্ট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে সংস্থার পলিসির নিয়মভঙ্গ হচ্ছে বলেই দাবি তারার। বলেন, আগামিদিনেও প্রয়োজন বুঝে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পলিসি বদল করা হতে পারে। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু মানুষের উসকানিতে কেউ ‘ভুল’ পথে চালিত হোক, এমনটা চায় না ফেসবুক।
উল্লেখ্য, মার্কিন মুলুকের অন্তত ১৯টি রাজ্যে রূপান্তরকামী থেরাপিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইউরোপেও এর চল আছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, জোর করে যৌন দৃ্ষ্টিভঙ্গি বদলে দেওয়ায় সেই ব্যক্তি কখনও চূড়ান্ত হতাশায় ভুগেছেন তো কখনও মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। এমনকী অল্প বয়সিদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও জন্মায়। যদিও আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকাতেই এই বিষয়টি প্রকট। এদেশে এমন কোনও সমস্যা এখনও ফেসবুকের চোখে পড়েনি বলেই জানা গিয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকলে মন্দ কী?