প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। আগেই বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ দামের ইতিহাস সৃষ্টি করা স্বর্ণের দাম নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছে। গত দুইদিনে দাম বেড়েছে সাড়ে তিন শতাংশের বেশি। যার রেশ ধরে বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বাজারেও প্রতি ভরি সোনার দাম প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা বেড়ে প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
বিশ্ব বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনায় অর্থনৈতিক মন্দায় সোনায় বিনিয়োগ বেড়েছে।
এদিকে জুয়েলার্স সমিতি জানিয়েছে, পাচার রোধেই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়।
করোনা মহামারিতে সারাবিশ্বের অর্থনীতিই যখন অনেকটা স্থবির, সেই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে সোনার দাম। গত ২০ দিনেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ২৪০ ডলারের বেশি। আর চলতি সপ্তাহে দুদিনে বেড়েছে প্রতি আউন্সে প্রায় ৭০ ডলার।
২৭ জুলাই ৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছাড়ায় ১৯৪৪ ডলার। এখানেই স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা থেমে থাকেনি। গত কয়েকদিন ১৯৫০ থেকে ১৯৭৫ ডলারের মধ্যে ঘুরতে থাকা প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো দুই হাজার ডলারে উঠে যায়। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২০৩১ ডলারে ওঠে।
বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে লেনদেনের শুরুতে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমলেও এখনও দুই হাজার ডলারের ওপরে রয়েছে। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ১০টার দিকে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ২০১২ ডলারে লেনদেন হয়। এরপরও সপ্তাহের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
বিশ্ব বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় বুধবার বাংলাদেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। এখন ২২ ক্যারেট সোনার প্রতি ভরি ৭৭ হাজার ২১৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ৭৪ হাজার ৭০ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬৫ হাজার ৩২০ টাকা এবং সনাতনী সোনা ৫৫ হাজার টাকা।
সবশেষ গত ২৪ জুলাই দেশের বাজারে প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ২ হাজার ৯শ’ টাকা ।