অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কলেজে ক্লাস না হওয়ায় বেঞ্চ, চেয়ার ও টেবিল ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাছিয়ারছড়ার মইনুল মোস্তফা কলেজে বুধবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে কলেজ ক্যাম্পাসে ওই সময় চরম বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয় ।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে দু’দেশের ছিটমহল বিনিময় সুসম্পন্ন হলে ওই অঞ্চলের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা দাছিয়ারছড়া কামালপুর এলাকায় ছিটমহল বিনিময় আন্দোলনের নেতা মইনুল হক ও গোলাম মোস্তফার যৌথ নামে মইনুল মোস্তফা মহাবিদ্যালয় স্থাপন করেন। তৎকালীন সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানে ২৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয় । পরবর্তীতে ২০২০ সালে মানবিক, বানিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগে পাঠদানের অনুমতি সাপেক্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। প্রথম বছর ৭২জন শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজের যাত্রা শুরু হয়। পরের বছর ৬৬জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয় ওই কলেজে। কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও উপস্থিতি সন্তোষজনক হলেও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রুটিন অনুযায়ী নিয়মিত ক্লাশ না নেয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন বন্ধ থাকে কলেজের শিক্ষক ও অধ্যক্ষের কক্ষ।
এমতবস্থায় বুধবার(৬ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্লাসের দাবিতে কলেজের শ্রেণিকক্ষের চেয়ার টেবিল বেঞ্চ জানালা দরজা ভাংচুর করে । শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে স্থানীয় অভিভাবকরা একাত্বতা প্রকাশ করলে কলেজ ক্যাম্পাসে চরম উত্তজনা ও হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
ওই কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান, শামীম ও জীবন সরকার জানান , আমরা প্রতিদিন কলেজে আসি, কিন্তু ক্লাশ হয় না। তাই ক্লাসের দাবিতে আজ ছাত্ররা শ্রেণিকক্ষের চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চ ভাংচুর করে । ছাত্রদের সাথে অনেক অভিভাবকও যোগ দেন।
স্থানীয় অভিভাবক আমজাদ হোসেন ও বাবুল মিয়া জানান, ছিটমহলের পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে অনেক উৎসাহ নিয়ে একমাত্র কলেজটি স্থাপন করা হয়েছে । শিক্ষার্থীও অনেক। কিন্তু কেন ক্লাশ হয় না ,তা জানা নেই।
মইনুল মোস্তফা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা খান জানান , আকাশ খারাপ হওয়ায় হয়তোবা শিক্ষকরা উপস্থিত হতে না পারার কারণে এমনটি হতে পারে। আমি কলেজের কাজে ঢাকায় আছি, পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।