অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দুই সতীন পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। জল্পনা- কল্পনা, তর্ক- বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে ভোটারদের মধ্যে। স্বামী এক স্ত্রীর পক্ষ নিলেও অন্যজন প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করায় দুই সতীনের ভোটের লড়াই জমে উঠেছে।
জানা গেছে, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা বুদারবান্নি গ্রামের ফজলু কসাইয়ের তিন স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী আঙ্গুর বেগম, দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা বেগম ও তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগম। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী স্বামীর সাথেই থাকেন। আর ৩য় স্ত্রী পৃথক বাড়ীতে বসবাস করেন।
৩য় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশীল ঘোষনা হলে ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন প্রথম স্ত্রী আঙ্গুর বেগম। অন্যদিকে তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগমও মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। স্বামী ফজলু কসাই প্রথম স্ত্রী আঙ্গুর বেগমের পক্ষ নিলেও তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগম নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে সতীনের সাথে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ন হন। একই পরিবারের দুই বধু প্রার্থী হওয়ায় এলাকার ভোটারদের মাঝেও শুরু হয় মুখরোচক আলোচনা।
এ বিষয়ে ফজলু মিয়া জানান, এবারের নির্বাচনে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের সমর্থনে প্রথম স্ত্রী আঙ্গুর বেগম সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে কলম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কিন্তু আমার ৩য় স্ত্রী জাহানারা বেগম আমাদের নিষেধ সত্বেও প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রার্থী জাহানারা বেগম জানান, আমি ২০১৭ সালের নির্বাচনে স্বামীর পরামর্শে প্রথমবার প্রার্থী হয়ে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হই। এবারের নির্বাচনে তালগাছ প্রতীকে আমার জয়ী হওয়ার শতভাগ সম্ভবনা রয়েছে। একারনে আমার সতীন আঙ্গুর বেগম ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে ফুসলিয়ে প্রার্থী হয়েছে এবং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আমাকে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমি তাতে ভীত নই। জনগণ আমার সাথে আছে, আমি জয়ী হবোই ইনশল্লাহ।
স্থানীয়রা জানান, ৩য় বিয়ের পর থেকে ফজলু কসাইয়ের পরিবারে অশান্তি চলছে। তারপর চলতি নির্বাচনে দুই সতীন পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ঝগড়া-বিবাদ আরও বেড়েছে । অনেক চেষ্টা করেও ৩য় স্ত্রী জাহানারা বেগমের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়নি। এখন দুই সতীন গোটা উপজেলায় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আগামি ২৮ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেখা যাক কে বিজয়ী হয়।