ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন মান-ই। এর প্রভাবে ‘বিপর্যয়কর এবং প্রাণঘাতী’ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর। টাইফুনের প্রভাবে উপকূলে ১৪ মিটার (৪৬ ফুট) উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ছে।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে শক্তিশালী টাইফুনটি কাটানডুয়ানেস দ্বীপে আছড়ে পড়ে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৯৫ কিলোমিটার।
রোববার ফিলিপাইনের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সুপার টাইফুন মান-ই এর প্রভাবে ‘বিপর্যয়কর এবং প্রাণঘাতী’ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর শক্তিশালী প্রভাবে গাছপালা উপড়ে গেছে বিদ্যুৎ লাইন ভেঙে পড়েছে এবং সমুদ্রের পানি উঁচু হয়ে জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি করছে।
টাইফুন মান-ই’র আঘাতে কাটানডুয়ানেস উপকূলে ঢেউয়ের উচ্চতা ১৪ মিটার ছাড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি, ম্যানিলা এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তিন মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোববার দুপুরে ঝড়টি জনবহুল লুজন দ্বীপে আঘাত হানতে পারে।
পরে ঝড়টি ম্যানিলার উত্তরে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে অগ্রসর হতে পারে। টাইফুনের কারণে এরই মধ্যে লাখ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু ফ্লাইট।
ফিলিপাইনে প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় আঘাত হানে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি ভয়াবহ ভূমিধ্বসেরও কারণ হয়।
টাইফুন ম্যান-ই ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত অরোরা প্রদেশে দ্বিতীয়বার আঘাত হানতে যাচ্ছে, যা ওই এলাকার মানুষের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়। টাইফুনটি গত এক মাসের মধ্যে দেশটির ষষ্ঠ বড় ঘূর্ণিঝড়।
শনিবার রাতে, ম্যান-ই কাতান্দুয়ানেসে আঘাত হানার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং শত শত গাছপালা ও বিদ্যুৎ খুঁটি উপড়ে গেছে,জলোচ্ছ্বাস ৭ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত করে। এই বিপর্যয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও নৌযান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স প্রশাসক আরিয়েল নেপোমুসেনো জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র নির্দেশ দিয়েছেন যেন টাইফুন মান-ই’র সম্ভাব্য আঘাতপ্রাপ্ত অঞ্চলগুলোতে সব সরকারি সংস্থা ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত’ থাকে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম