ডেস্ক রিপোর্ট: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইসলাম ও হযরত মুহাম্মদকে (সা.) অবমাননার পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছেন । এ ঘটনায় পুরো মুসলিম বিশ্ব ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। শুধু তাই নয়, এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি আরব দেশ ফ্রান্সের পণ্য বয়কটেরও ডাক দিয়েছে। এবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান তুর্কিদের ফরাসি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামি মৌলবাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের কঠোর অবস্থান নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই আহ্বান জানালেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
এ ছাড়াও ইসলামবিরোধী ইস্যুতে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে থামানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদের আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাটো জোটের এই মিত্র দেশটির প্রধান।
সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
গেল শনিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছিলেন, মুসলমানদের নিয়ে ম্যাক্রোঁর সমস্যা রয়েছে। তার মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে পরীক্ষা করা দরকার। এর পরের দিন এবং সোমবার তিনি একই মন্তব্য করেছেন।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ফ্রান্সে যেমন ‘তুর্কি ব্র্যান্ড’র পণ্য ক্রয় না করা জন্য বলা হচ্ছে; ঠিক তেমনই আমিও তুরস্কের সব নাগরিককে একই ধরনের আহ্বান জানিয়ে বলছি, কখনই কোনো ফরাসি ব্র্যান্ডকে সহায়তা করবেন না অথবা ফরাসি ব্র্যান্ড’র পণ্যসামগ্রী কিনবেন না।
এদিকে, অনেক আরব দেশেই ফরাসি জিনিস, বিশেষ করে মেক আপ সামগ্রী ও সুগন্ধী আর বিক্রি করা হচ্ছে না। শপিং মল বা দোকানের তাক খালি করে দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ডয়েচে ভেলের বাংলা সংস্করনের এক প্রতিবেদনে।
প্রসঙ্গত, মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের জেরে এক মুসলিম উগ্রবাদী কর্তৃক একজন ইতিহাসের শিক্ষককে হত্যার পর থেকেই উত্তপ্ত ফ্রান্স। ওই ঘটনার পর অন্তত ৫০টি মসজিদ ও মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ভয়াবহ অভিযান চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার এ ঘোষণায় মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। ইসলামের প্রতি এমন মানসিকতার জন্য ম্যাক্রোঁর মানসিক চিকিৎসা দরকার বলে মন্তব্য করেন এরদোয়ান।
এদিকে এমন পরিস্থিতিতে মুসলিম দেশগুলোতে ফরাসি পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। বর্জনের ডাকে সাড়া দিয়ে ইতোমধ্যে কাতার ও কুয়েতের বিভিন্ন মার্কেটের সেলফ থেকে ফরাসি পণ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফরাসি পণ্য বর্জনের দাবিতে টুইটার হ্যাশট্যাগ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সৌদি আরবসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও।
অন্যদিকে, রবিবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে ফরাসি পণ্য বর্জন বন্ধের আহ্বান জানায় ফ্রান্স।