সাকিব আল হাসান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে এক কাপড় ব্যবসায়ীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে গ্রাম ছাড়া হয়েছেন এক নারী। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তারে সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। আর সেই অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি মোবাইলে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন অভিযুক্ত বাছেদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাইটকামারী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী বাছেদ মিয়া গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। দু’জনের এই প্রেমের সম্পর্কের কথা অনেকেই জানতেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘আমার প্রথম বিয়ের পর বাইটকামারী বাজারে জামা-কাপড় কেনাকাটা করা হতো বাছেদের দোকানে। সেই সুবাদে হঠাৎ একদিন বিকেলে সুযোগ বুঝে আমার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বাছেদ। এসময় আমার ভাশুর বাড়িতে আসলে পালিয়ে যায় সে। এতে আমাকে সন্দেহ করেন ভাসুর।’
তিনি আরও বলেন, এই কারণে আমাকে তালাক দেয় আমার স্বামী। এর কিছু দিন পর আমার দ্বিতীয় বিয়ে হয় আজগর আলীর সাথে। আজগর আলী ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করার কারণে বেশি সময় আমাকে বাবার বাড়িতেই থাকতে হতো। এই অবস্থায় বাছেদ আবার বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। আমি তার উদ্দেশ্য বুজতে না পেরে তার প্রেমের ফাঁদে পা দেই। তার কথায় প্রথমে আমি আমার স্বামীকে তালাক দেই। পরে সে আমাকে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে নিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সম্পর্ক গড়ে তোলে আর মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ছবি ওঠায়।
ভু্ক্তভোগী নারী বলেন ‘এর পরে আমি বিয়ে করার চাপ দিলে আমার কাছ থেকে দামি মোবাইল সেটসহ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি বিভিন্ন সময় আমার গহনা বিক্রি করে ৩টি স্মার্ট মোবাইল সেট ও ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বাছেদকে দেই। তারপরেও সে আমাকে বিয়ে না করে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। বিয়ের চাপ দিলে আমার সাথে তোলা আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। পরবর্তীতে তাই করে সে।
এই ঘটনার বিষয়ে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী শুক্রবার বাদী হয়ে রৌমারী থানায় মামলা দায়ের করেছে। আমরা আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।