মোঃ সদরুল কাদির (শাওন)::
প্রি-পেইড মিটারের নানা সুবিধা তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ শফিক উদ্দিন। গতকাল সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রি-পেইড মিটারের নানা অনিয়মের বিষয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের ব্যাখ্যা দেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রাহক সেবায় কিছুটা ঘাটতি থাকতে পারে। গ্রাহক সেবার মান পরিবর্তনে ছয় মাস সময় চেয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্যই পদ্মার এপারের একুশ জেলার গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে ওজোপাডিকো। কোম্পানির লক্ষ্য হচ্ছে সকলের জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানী সরবরাহ করা। এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার মেগাওয়াট, এক লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণ ও পুনর্বাসন, ৪৮০টি উপকেন্দ্র নির্মাণ ও আধুনিকায়ন, নতুন ৭০ লাখ গ্রাহককে সংযোগ দেয়া, ৩০ হাজার গ্রাম বিদ্যুতায়ন করা, এক লাখ ৯০ হাজার ওভারলোড বিতরণ ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপনসহ নানা কর্মসূচির কথাও জানান ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, ওজোপাডিকোর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ১৩ লাখ ৬১ হাজার প্রি-পেইড মিটার বসানোর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬৪টি বসানো হয়েছে।
সম্প্রতি কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে প্রি-পেইড মিটার সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃক নির্ধারিত বিদ্যুতের মূল্যহার (ট্যারিফ রেট) ও চার্জ (ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাট) মোতাবেক প্রি-পেইড মিটার হতে টাকা কর্তন করা হয়। যা পূর্বের পোস্ট পেইড/ডিজিটাল মিটারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ছিল। এছাড়া অতিরিক্ত কোন চার্জ কর্তন করার সুযোগ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) রতন কুমার দেবনাথ ও নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) হাসান আলী তালুকদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের ফলে গ্রাহকরা যে সকল সুবিধাদি পাচ্ছেন তার বেশ কিছু বর্ণনা তুলে ধরে ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার শর্ট সার্কিট জনিত দুর্ঘটনা রোধ করে গ্রাহকের বিদ্যুৎ ব্যবহার নিরাপদ করে। স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং পদ্ধতিতে ভেন্ডিং স্টেশন এবং মোবাইল ভেন্ডিং এর মাধ্যমে বিল পরিশোধ সহজসাধ্য যা এনালগ/ডিজিটাল মিটার পদ্ধতির মিটার রিডিং সংক্রান্ত যাবতীয় ঝামেলা থেকে মুক্ত। ব্যবহারকারী পরিবারের বাজেট অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা পাওয়া যায় বা যে কোন গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে পারে। মিটারে ব্যালান্স শেষ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে মিটার হতে ১০০ টাকা অগ্রীম ব্যালান্স নেয়ার ব্যবস্থা থাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার কোন আশংকা নেই। সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্রবার ও শনিবার) সরকারি ছুটির দিনে এবং অফিস সময়ের পরে (বিকেল ৪ থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত) মিটারে ব্যালান্স না থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না।