প্রকৃতিতে বৈশাখ আসে নানা রঙে নানা রূপে। নতুন সম্ভাবনা আর স্বপ্নের গল্প নিয়ে। অপেক্ষা মাত্র কয়েকঘণ্টা। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বর্ষবরণে মাতবে পুরো দেশ। রমনার বটমূলে শেষ হয়েছে সব ধরণের প্রস্তুতি। মঙ্গল শোভাযাত্রার আনুষঙ্গিক উপকরণ তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। হঠাৎ বৃষ্টি কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করলেও আয়োজকরা জানালেন, প্রাণের উৎসব উদযাপনে সব বাধা তুচ্ছ।
বর্ষবরণের সকাল শুরু হয় রমনার বটমূলে ছায়ানটের গানে। মঞ্চসজ্জার কাজ প্রায় শেষ। গানে গানে বৈশাখ আবাহনের প্রস্ততিও সম্পন্ন। দীর্ঘকাল ধরে বর্ষবরণের প্রধান আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে চারুকলা অনুষদে।
রঙ-বেরঙের লোকজ ঐতিহ্যের প্রতিরূপ নিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত আয়োজকরা। নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনবে শান্তির সুবাতাস, বলছেন তারা।
আয়োজকদের একজন জানান, বছরটা ভালো কাটুক, আগের সব দু:খ ভুলে যাবো।
আবহমান বাঙলার লোকজ আয়োজন দেখতে চারুকলা অনুষদে ভিড় করেছেন অনেকেই। সার্বজনীন এ উৎসবে সামিল হতে উন্মুখ ভিনদেশিরাও।
দীর্ঘসময় পেরিয়ে আসা সার্বজনীন এ উৎসব হতে পারে সমাজের সব ব্যাধি দূর করার উপাদান।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের ছেলে স্থপতি মাঈনুল আবেদীন বলেন, শুধু অর্থনৈতিক লাভবান না, আমাদের কারিকুলামে সাথে এটা গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টিগুলো সংযোজন করা।
চারুকলার ডীন অধ্যাপক নিসার আহমেদ বলেন, আমাদের অনেকগুলো পজেটিভ ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি অনেক বদলে গেছে, জঙ্গিবাদের এই জায়গাটায় আমরা নেই। আমাদের অনেক অর্জন আছে আমরা নিজেরা কতগুলো লক্ষ্য সেট করছি। আগে তো বলতাম ওই দেশকে অনুসরণ করবো, এইভাবে বলতাম, আর এখন কিন্তু আমাদের কেউ অন্য দেশ অনুসরণ করে।
আবহমান কাল ধরে নববর্ষ বরণ এখন বাঙালির প্রাণের উৎসব। অসহিষ্ণু সময়ে যা একাত্ম করতে পারে সবাইকে, শুভ প্রত্যয়ে।