প্রথম বারের মতো জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের আয়োজনে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও অত্যন্ত ভাবগম্ভীর পরিবেশে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় জাতিসংঘের কনফারেন্স রুম-৪ (চার) এ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধি, কূটনীতিক ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।,এর আগে সকাল নয়টায় স্থায়ী মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মাধ্যমে জাতির পিতার ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। এ সময় ১৫ আগস্টের শহীদদের উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিকেলে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত শোক দিবসের মূল অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।এসময় দেশি-বিদেশিরা অতিথিরা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানটিতে ‘বঙ্গবন্ধু ও বহুপাক্ষিকতাবাদ’ বিষয়ে কী-নোট স্পীচ প্রদান করেন জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ভারত, সার্বিয়া ও কিউবার স্থায়ী প্রতিনিধি এবং প্যালেস্টাইনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক।প্রবাসী বাঙালি সম্প্রদায়ের পক্ষে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। সাংস্কৃতিক পর্বে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা ও গান পরিবেশন করা হয়। সবশেষে জাতির পিতা, বঙ্গমাতা এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের সেই কালরাত্রিতে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির হাতে নৃশংসভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।