লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতাঃ প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে লোহাগাড়ার ইউপি নির্বাচন। সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ৪র্থধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউপি নির্বাচন। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন।
উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে ইউপির অলি-গলি, বাসা-বাড়ি, চায়ের দোকান ও বিভিন্ন স্থাপনায়।
নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীরা খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে কোমর বেঁধে নির্বাচনী মাঠে দিন-রাত সময় দিচ্ছেন। তারা ভোটারদের কাছে গিয়ে তাদের আদর্শের বয়ানসহ ইউনিয়নে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে,চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা দলবেঁধে প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনী এলাকা সরগরম করে তুলছেন। তারা অটোরিকশা, ইজিবাইক, নসিমন ও রিকশায় মাইক বেঁধে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
৬টি ইউনিয়নে ২৬২ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করছেন।
এরমধ্যে উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ’লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বডুয়া,পুটিবিলা ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃজাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীরা ব্যতীত চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন এবং সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ সদস্য পদে ২৪৮ জন প্রার্থীও মাঠে-ঘাটে কোমর বেঁধে অবিরাম প্রচার-প্রচারণায় ভাসছেন। নির্বাচনী সময় ঘনিয়ে আসার সাথে ইউপিগুলোর বাজার, অলি-গলি, চায়ের দোকান, হোটেল, বিভিন্ন স্থাপনা ও বসত বাড়ির সামনে পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে। প্রার্থীরা সবাই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। অন্যান্য প্রার্থীরাও বলেন জনগণের ইচ্ছাতেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। তাই জনগণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয় করবেন এ কামনা করছেন তারা।
এদিকে নারী প্রার্থীদের সাথে মাঠে নেমেছেন স্বামী সন্তানরাও। তেমনি পুরুষ প্রার্থীদের সাথেও স্ত্রী সন্তানরা বসে নেই। সবার আশা ভোট যুদ্ধে জিততেই হবে। তবে সাধারণ ভোটাররা ভোট দেয়ার ব্যাপারে কোনও প্রার্থীকেই নিরাস করছেন না। প্রার্থীরা ব্যবসায়ী ভোটারদের দোকানে গিয়েও ভোট প্রার্থনা করছেন। শুধু তাই নয় মাঠে কর্মরত শ্রমিকদের কাছেও যাচ্ছেন ভোটের আশায়। দিচ্ছেন নানা ধরণের প্রতিশ্রুতি।
করিম নামে এক ভোটার জানান, ভোট আসলে প্রার্থীদের আনা-গোনার কমতি থাকে না। ভোট শেষ হলেই তাদের দেখা পাওয়া যায় না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে, সে মোতাবেক কাজ করে না। তারা নির্বাচনের পর সব ভুলে যান।
ভোটার আব্দুর রহিম জানান, অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। কিন্তু ইউনিয়নের তেমন কোন উন্নয়ন হয় না।
চুনতি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃজয়নুল আবদিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমি নির্বাচিত হতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবো। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করাসহ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো।
চুনতি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ (চশমা)বলেন, জনগনের কাছে যাচ্ছি। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভাটে আমি নির্বাচিত হব।
কলাউজান ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এয়াছিন জানান, জনগনের ইচ্ছায় আমি নির্বাচন করতেছি। জনগণ চাইলে আমি ৫ বছর তাদের পাশে থাকবো।
পদুয়া আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) হারুনর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আশাকরি জনগণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাকে জয় করবে। আমি নির্বাচিত হলে পদুয়াকে মাদকমুক্ত, কিশোর গ্যাং মুক্ত একটি ডিজিটাল ইউনিয়নে রুপান্তর করবো।