প্রক্রিয়াজাত চালের যাবতীয় রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। এছাড়া, আতপ চালও আপাতত আর বিদেশে রপ্তানি করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পুতিনের সরকার।
সম্প্রতি রুশ সরকার ঘোষণা করেছে, আপাতত কিছুদিনের জন্য তারা বিদেশে চাল রপ্তানি করবে না। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজারকেই। আর আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ রাখা হবে। তারপর আবার দেশে দেশে চাল পাঠাবে রাশিয়া।
রাশিয়া সরকার জানিয়েছে, ধানের ফলন কম হওয়ায় চাল উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে রাশিয়ায়। ফলে চালের জন্য অভ্যন্তরীণ চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। দেশের একটা বড় সংখ্যক বাসিন্দার দৈনন্দিন খাদ্য ভাত এবং চালজাত অন্যান্য খাবার। তাই দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারকে স্থিতিশীল করতে চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চালের সংকট তাদের দেশেও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতেই এমন সিদ্ধান্ত।
ক্রেমলিন অবশ্য জানিয়েছে, চালের রপ্তানির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য নয়। ওই দেশগুলোতে একইভাবে চাল রপ্তানি করবে রাশিয়া। ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর তালিকায় আছে, বেলারুস, আর্মেনিয়া, কাজাখস্তান এবং কিরগিস্তান। এ ছাড়া, ককেশাস পর্বতঘেঁষা ওয়েটিয়া প্রদেশ এবং আবখাজিয়া প্রদেশেও চাল রফতানি চালিয়ে যাবে ক্রেমলিন।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে ৩০০ কোটির বেশি মানুষের কাছে চাল একটি অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য। এই বিপুল চাহিদার ৯০ শতাংশ আসে এশিয়া থেকে। রাশিয়া ও ভারতের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এশিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস থেকে চালের জোগান বন্ধ হয়ে গেছে। এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে বিশ্বের খাদ্যশস্যের বাজারে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি