মোঃ সদরুল কাদির (শাওন), সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি:: সাতক্ষীরা বার্তা নামক অনলাইন পোর্টালে ওজোপাডিকো’র উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজিব রায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের সাপেক্ষে যুক্তি ও প্রমান উপস্থাপন করা হলো।
“প্রয়োজনে ইস্তফা দেব তবে কোন দূর্নীতি বা অন্যায়ের সাথে আপোষ করবো না” এই নীতির উপর অটল থেকে সাতক্ষীরায় একের পর এক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মামলা দায়ের করেন রাজিব রায়। এই অভিযানের ফলে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল খুবই সমস্যায় পড়ে যায়। বছরের পর বছর মিটার বিহীন বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে এবং বিদ্যুৎ অফিসের কিছু কর্মকর্তাদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করে চলছিল কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির প্রক্রিয়া। একদিকে সরকার বিদ্যুৎতে ভর্তূকি দিচ্ছে অন্যদিকে সেই বিদ্যুৎ চুরি করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে এক শ্রেণীর অসাধু জনগণ।
রাজিব রায় প্রথম দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর সাতক্ষীরা সুলতানপুর, মুন্সিপাড়া, দহাখুলা, ঘুটেরডাঙ্গীর অন্তত ২০-৫০ টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ৭-৮ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হন। এতে কিছু মানুষ তার প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিনিত হয়ে যায়। তারা বিভিন্নভাবে ইঞ্জিনিয়ার রাজিব রায়কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করতে থাকে।
কখনো নকল টিআইবি সদস্য, কখনো মাস্তান দিয়ে মারার হূমকি আবার কখনো উদ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে রাজিব রায়কে তার অভিযান থেকে সরিয়ে আনতে চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু রাজিব রায় সম্পূর্ণ নির্দোষ একজন মানুষ। যার প্রতিটি অভিযানের বৈধ ডকুমেন্ট ও আদায়কৃত জরিমানার ব্যাংক জমার কপিসহ অন্যান্য নথিপত্র খুব স্বযন্তে রেখে দিয়েছেন।
আমরা তার সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি, সুলতানপুরের আবুল বাশার তার নামে অভিযোগ করেছেন তিনি নাকি আবুল বাশারের কাছ থেকে আদায়কৃত জরিমানা আত্মসাত করেছেন। কিন্তু রাজিব রায় সুলতানপুর ফেডারের দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বেই আবুল বাশার জরিমানা দিয়েছেন এবং তা ব্যাংকেও জমা আছে।
এছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে আরোও রয়েছেন সাতক্ষীরা ডে নাইট কলেজের পাশে রবিউল ইসলাম (৫০৩১৪০৮০৩) নামক মিটার বাইপাসকরী। যিনি ১,৬১৯ ইউনিটের জন্য জরিমানা বাবদ ৪৮, ৪২২ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছেন।
সুলতানপুর ঝিল পাড়ার মাহবুবুর রহমান (৫০৩১৪১৮৩০) নামক মিটার টেম্পরারিংকারী। যিনি ৩,১১৭ ইউনিটের জরিমানা বাবদ ১৯,৭৬৩ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছেন।
মুন্সিপাড়ার আজমিরা বেগম (৫০৩১৪০৫০২) মিটার বাইপাসকরী। যিনি ২,২৮০ ইউনিটের জরিমানা বাবদ ২৪,৭৫৩ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছেন। পূনরায় অবৈধ সংযোগ নেওয়ার কারণে ০২/০৫/১৯ ইং তারিখে তার নামে মামলা হয়েছে। যার নং-সি-৪৭/১৯।
মুন্সিপাড়ার আব্দুল মান্নান (৫০৩১৩১২১৫) রেট পরিবর্তনকারী। যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি নাকি উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজিব রায়কে ১৫,০০০ টাকা দিয়েছেন এবং তিনি তা আত্মসাত করেছেন। তার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কারণ তিনি ২০/০৩/১৮ ইং তারিখে তার বিরুদ্ধে জরিমানাকৃত ১৪,৯৯৫ টাকা আইএফআইসি ব্যাংকে জমা দিয়েছেন, যার স্ক্রল নং-৮৭।
দহাখুলার জামাল উদ্দিন মোল্লা (৫০৩১৪৩৭১৫) মিটার বাইপাসকরী/টেম্পারিংকারী। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে তিনি উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজিব রায়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি নাকি রাজিব রায়েকে ঘুষ দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো এই জামাল উদ্দিন মোল্লা যদি মিটার বাইপাস ও টেম্পারিং করে শাস্তি পেয়ে থাকেন তাহলে তার এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। কারণ যে ভালো কাজ করবে তার শত্রুর অভাব হয় না। দহাখুলা গ্রামে যেয়ে জামাল উদ্দিন মোল্লা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিলে তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আরোও বিশদ জানা যাবে।
ঘুঁটেরডাঙ্গীর আব্দুর রউফ (৫০৩১৪৪০১১) মিটার বাইপাসকরী/টেম্পারিংকারী। যিনিও জামাল উদ্দিন মোল্লার মত মিথ্যা অভিযোগ করেছেন যে, রাজিব রায়ের সাথে তারও অর্থ লেনদেন হয়েছে। কিন্তু রাজিব রায় ও ঘুঁটেরডাঙ্গীর কিছু মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, আব্দুর রউফ দীর্ঘদিন মিটার বাইপাস ও টেম্পারিং করে অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করে আসছিল। বিদ্যুৎ বিলের দশ ভাগের এক ভাগ দিয়ে চলে আসছিল। কিন্তু রাজিব রায় যখন তার এই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তখন থেকেই তিনি রাজিব রায়েকে কয়েকবার সন্ত্রাসী দিয়ে হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হতে পারেনি। তাই তিনি এখন উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজিব রায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
ঘুঁটেরডাঙ্গীর শামছুর রহমান (৫০৩১৪৩৯৩৩) মিটার বাইপাসকরী/টেম্পারিংকারী। শামছুর রহমান ও আব্দুর রউফ এর মত বিদ্যুৎ বিলের দশ ভাগের এক ভাগ দিয়ে চলে আসছিল। একইভাবে রাজিব রায় যখন তার এই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তখন থেকেই তিনিও বিভিন্ন সময় রাজিব রায়েকে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনিও সফল হতে পারেনি। তাই তিনি এখন উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজিব রায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ০৬-০৮-১৯ ইং তারিখে কাটিয়া নারিকেলতলা নামক স্থানে উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজিব রায় একটি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে গ্রাহকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও ২ বছরের কারাদণ্ডের জন্য সুপারিশ করেন।
উপরের সবগুলো অভিযোগকারীর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট দেখা যায় যে, উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজিব রায় কোন দূর্নীতি বা অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে সবগুলো অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও জরিমানাসহ মামলা দায়ের ও করতে পিছপা হননি। তাই স্বার্থান্বেষী মহল এখন নতুন ফন্দি হিসেবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ অফিস থেকে সরিয়ে দিতে চাইছেন।
সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানতে পারি যে, উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজিব রায় যেটা করছেন সেটা ঠিক করছেন। নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে তিনি কোন কাজ করতেই পারেন না। তিনি ওজোপাডিকো’র একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মী। আমরা তার সবাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।
সমস্ত অভিযোগ পর্যালোচনা করে উপ সহকারী প্রকৌশলী রাজিব রায়ের সাথে কথা বলে একটি বিষয় জানতে পারি যে, তিনি অভিযোগকারীরদের বিরুদ্ধে এখন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তবে বিভাগীয় তদন্ত শেষে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর প্রত্যেক অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকার মানহানি ও টিআইবির নাম উল্লেখ করে ভুয়া অভিযোগ ও চিঠি পাঠানোর জন্য প্রতারণার মামলা করার সিদ্ধান্ত নিবেন।