পেঁয়াজের দাম কমছে হু হু করে ভারতীয় পেঁয়াজ ঢুকতে শুরু করায় । আরও কমার অপেক্ষায় বাজারে ক্রেতা সমাগম নেই । তবে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও মাত্র দুইদিনে কারসাজি করে সিন্ডিকেট তুলে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। আড়তদার ও পাইকাররা এর পুরো দায় চাপাচ্ছেন আমদানিকারকদের সিন্ডিকেটের ওপর।
ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর দাবি, প্রতিবছর একই কাজ করছে নির্দিষ্ট একটি সিন্ডিকেট । তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলেই বার বার ঘটছে এমন ঘটনা।
ভারত পেয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার মাত্র ৫ দিনের মাথায় আগের ২৫-৩০ টাকা দরের পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ৫০ টাকা। মাঝে পাইকারি বাজারেই দাম ওঠা নামা করেছে ৮০ টাকার উপরে। আগের আনা সেই পেয়াজ এখন নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা। এর পুরো কারসাজি আমদানিকারকদের বলেও মত তাদের।
এক আড়তদার বলেন, আমাদেরকে একটা স্রোতা দিয়ে দেয়। স্রোতার ভেতরে দাম-দর সব লেখা থাকে। আমাদেরকে বলে দেয় আপনারা এই দামে বিক্রি করবেন।
আড়তদাররা বলছেন, নির্ধারণ করা দামে কতোদিন বিক্রি করা যাবে তা নির্ভর করছে আমদানি করা পেয়াজের পরিমাণের ওপর। রোববার থেকে খুচরা বাজারে দাম আরও কমবে বলেও মত তাদের। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে মনিটরিং সেল গঠন করেছে দোকান মালিক সমিতি।
শ্যামবাজার জোন মনিটরিং সেল প্রধান আবুল কালাম মিয়া বলেন, ইন্ডিয়ার বাজারটা তো আর আমরা যারা ঢাকার ইমপোর্টার তাদের হাতে নয়। এটা হচ্ছে যারা বর্ডার ভিত্তিক আছে তাদের হাতে। আমরা চাচ্ছি সরকারে সাথে সমন্বয় করে মার্কেটাকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এদিকে, পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও মাত্র দুইদিনে কারসাজি করে একটি সিন্ডিকেট বাজার থেকে তুলে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলছে, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে এ প্রবণতা ভবিষ্যতে বাড়বে।
ক্যাবের চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, এক রাতের ভিতরেই বিপুল পরিমাণ টাকা তারা কামিয়ে নিয়েছে। তো এটা কারণ হিসেবে আমরা যেটা দেখি, আমাদের দেশে সিন্ডিকেটের কারসাজির সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেই সরকার, বানিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো ধরণের ব্যবস্থা নেই না। এ ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে এই চক্রটি প্রতি বছর বারে বারে একই কায়দায় এই ধরণের সংকট তৈরি করে মানুষের পকেট থেকে টাকা খসিয়ে নেয়।
এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ ঢোকার খবরে আড়তে কমে গেছে বিক্রি।