তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার সদর থানার ৫ নং আখাইলকুড়া ইউনিয়নের সম্পাশি গ্রামের ৮ বছরের শিশু আব্দুল হাসিম (মাহিম) খুনের ঘটনায় ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করেছে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
গত ১১ (ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ৮ বছরের শিশু আব্দুল হাসিম (মাহিম) বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তার হাত পা বাঁধা, বস্তাবন্দি মরদেহ মনু নদীতে পাওয়া যায়।
এ ঘটনার সূত্র ধরে মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সদর থানার ওসি, ইয়াছিনুল হক, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মর্তুজা ও বিট অফিসার এসআই আবু নাইয়ুম মিয়াসহ সদর থানার একটি চৌকস দল রহস্য উন্মোচনে মাঠে নামেন অভিযানে।
ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সম্পাশি গ্রামের সাব্বির বক্স (১৯) সহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পুলিশের সুকৌশলী জিজ্ঞাসাবাদে সাব্বির বক্স জানায় মাত্র এক হাজার টাকা পাওয়ানাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সে নিজেই ৮ বছরের শিশু মাহিমকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে মনু নদীতে ফেলে দেয়।
শিশু মাহিম হত্যার ঘটনায় ১৩ ডিসেম্বর সাব্বির বক্সকে প্রধান আসামী করে নিহত শিশুর পিতা মোঃ বদরুল ইসলাম বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি ইয়াছিনুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডিজিটাল বাংলা নিউজের প্রতিবেদক’কে বলেন, শিশু মাহিম হত্যার প্রধান আসামী সাব্বির বক্স হত্যার কথা স্বীকার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে হাজির করা হলে আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে হত্যার কথা স্বীকার করে।