গত বৃহস্পতিবার মধ্যেরাতে ভয়াবহ ভূমিধসের কবলে পরে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ দেশ পাপুয়া নিউগিনি। দেশটির উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এনগা প্রদেশের কাওকালাম গ্রামে ভূমিধসে কয়েকশ ঘরবাড়ি চাপা পড়ে। এ ভূমিধসে দুই হাজারের বেশি মানুষ মাটিচাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার জাতিসংঘের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাপুয়া নিউগিনি সরকার। সেই চিঠির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পাপুয়া নিউগিনির দুর্যোগ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লুসেতে লাসো মানা সোমবার জাতিসংঘের কাছে এক চিঠিতে বলেছেন, ” উত্তরাঞ্চলের এনগা প্রদেশের পোরগেরা-পাইলা জেলার প্রত্যন্ত মুলিতাকার ছয়টি গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে। এতে ২ হাজারের বেশি মানুষ জীবন্ত চাপা পড়েছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘ভূমিধসে অনেক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া অসংখ্য ফসলের খামার ও ফলের বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা দেশের অর্থনৈতিক খাতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।‘
তিনি চিঠিতে আরও বলেন, ‘পোরগেরা খনির পাশের প্রধান সড়ক সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপ সরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।‘
এ সময় দুর্যোগ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জাতিসংঘের কাছে দ্রুত সহায়তার আহ্বান জানান।
এদিকে মারাত্মক এই ভূমিধসের তিন দিন পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে এক দম্পতিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধসে পড়া স্থানে অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ভারী সরঞ্জাম পৌঁছানো এখনও সম্ভব হয়নি, কারণ প্রধান সড়কটি বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রবেশের একমাত্র উপায় হেলিকপ্টার। এছাড়া ধ্বংসাবশেষ এবং নীচের মাটির মধ্যে পানি জমেছে, যা আরও ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
কাওকালাম গ্রামের কাছেই পোরগেরা স্বর্ণ খনি রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অপরিকল্পিতভাবে স্বর্ণখনি খোঁড়াখুঁড়িই এ ধসের ঘটনা ঘটেছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম