ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ও নেপালে বৃষ্টিপাত বাড়ায় দেশের ১৬ জেলায় ১৮টি নদ-নদীর পানি ২৫টি পয়েন্ট বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছে। যা আগামী তিন দিনের মধ্যে না কমলে দেশে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অন্যদিকে, পার্বত্য অঞ্চলগুলোতেও টানাবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি বেড়েই চলেছে। এছাড়া মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বেশ কিছু জায়গায় বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আগামী পাঁচদিনের মধ্যে মধ্যাঞ্চলের অনেক জেলা নতুন করে প্লাবিত হতে পারে।কুড়িগ্রামে সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ায় সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটাসহ আশেপাশের এলাকার প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।সুনামগঞ্জ শহরের পানি নেমে আশপাশের উপজেলাগুলোর নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে, লালমনিরহাটে তিস্তা-ধরলাসহ সব কটি নদীর পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি পানিবন্দি মানুষের।সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বাড়ায় জেলার ১৩টি উপজেলার নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।জামালপুর ও সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।বান্দরবানে ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অনতি হয়েছে। এদিকে অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগড়াসহ ৭টি উপজেলা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।