ভারত আক্রমণ করতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছে ইসলামাবাদ। এদিকে ভারত যুদ্ধ শুরু করলে পাল্টা জবাব দেবে পাকিস্তান, এমন হুমকিও দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ভারতের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ব্যবহার হয়েছিল মিলিটারি গ্রেড আরডিএক্স, যা পাকিস্তানি সেনাদের কাছ থেকেই জঙ্গিরা পেয়েছে। অন্যদিকে কাশ্মীরে সাধারণ নাগরিকদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, কারো হাতে অস্ত্র দেখলেই তারা গুলি করবে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ভারত পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে, জাতিসংঘ যেন ভারতের এমন তৎপরতা থামায়। চিঠিতে আরো বলা হয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারের যে হুমকি দিয়েছে ভারত, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত হবে।
মঙ্গলবার পাঠানো চিঠিতে চলমান স্থবিরতা কাটাতে জাতিসংঘকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আগামী মে মাসে ভারতের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোদি সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলায় ৪৯ সিআরপিএফ সদস্য নিহতের পাঁচদিন পর আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বলেছেন, পুলওয়ামার ঘটনায় ভারত যদি আক্রমণ করে, তাহলে পাকিস্তান পাল্টা আক্রমণ করবে। একই সঙ্গে ইমরান খানের অভিযোগ, কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ইসলামাবাদের ওপর পুলওয়ামা হামলার দায় চাপাচ্ছে নয়াদিল্লি।
কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ মঙ্গলবার ভারতীয় তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ভারতের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে দাবি করা হয়, হামলায় পাকিস্তানের যোগশাজস পেয়েছে তারা। তাদের দাবি, পুলওয়ামায় ব্যবহার হয়েছিল মিলিটারি গ্রেড আরডিএক্স, যা পাকিস্তানের সেনাদের কাছ থেকেই জইশ-ই-মুহাম্মদের জঙ্গিরা পেয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জে এস ধিলন বলেন, এই হামলা চালিয়েছে জইশ-ই-মুহাম্মদের জঙ্গিরা। তাদের মদদ দিয়েছে পাকিস্তান। হামলায় আইএসআই ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এদিকে রাজস্থানের বিকানের পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। এমনকি, মোবাইল-টেলিফোনে পাকিস্তানের নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপরও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া, ভারতের কাশ্মীরের সাধারণ নাগরিকদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, কারো হাতে অস্ত্র দেখলেই তারা গুলি করবে।