পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের বন্দর নগরীতে সাতজন নাপিতকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘুমন্ত অবস্থায় ওই সাতজন নাপিতকে হত্যা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (০৯ মে) পাকিস্তানের গোয়াদরের সুরবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা নাপিত দোকানের কর্মীদের আবাসিক ভবনে ঢুকে ঘুমন্ত কর্মীদের ওপর গুলি চালায়। এত ৭ জন নিহত হয়, আহত হয় আরও একজন।
নিহতরা পাঞ্জাবের খানেওয়াল এবং লোধরান জেলার বাসিন্দা, এবং আহতরা মিয়া চান্নু, খানেওয়ালের বাসিন্দা।
ডনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোয়াদরের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) জোহাইব মহসিন বলেছেন, ঘটনাটি ঘটেছিল আনুমানিক রাত ৩টায়, নিহতরা গোয়াদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সুরবন্দরে একটি নাপিতের দোকানে কাজ করত। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।
গোয়াদরের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা এই মুহূর্তে বিষয়টি তদন্ত করছি, ধারণা করা হচ্ছে, তারা পাঞ্জাবি হওয়ায় তাদের উপর হামলা করা হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ আহত ও নিহতদের মৃতদেহ গোয়াদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছে। দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি গোয়াদরে শ্রমিকদের হত্যার নিন্দা জানিয়ে একে ‘উন্মুক্ত সন্ত্রাসবাদ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। নিহতদের পরিবারগুলোকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানেরও ঘোষণা দেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী পিটিভি নিউজের এক্স-এ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এ ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিন বলেছেন, এটি একটি কাপুরুষোচিত কাজ, আমরা সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।
বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মীর জিয়া উল্লাহ লাঙ্গাউ বলেছেন, সন্ত্রাসীদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম