মোঃ সদরুল কাদির (শাওন), সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি:: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রাজপুর (পূর্ব ভাদিয়ালী) গ্রামে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী লম্পট যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুটি এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে থানা পুলিশের দারস্ত হয়। ধর্ষণের সময় শিশুটির চিৎকার দিলে পালিয়ে যায় প্রতিবেশী লম্পট যুবক (১৬)।
এ নেক্কারজনক ঘটনাটি রোববার (২৩ই জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাজপুর গ্রামে ঘটলে ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুটিকে নিয়ে বাবা- মা থানায় হাজির হয়ে পলাতক লম্পটের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি গ্রহন করেন।
শিশুটির পিতা জানান, রোববার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ভিকটিম শিশু রাজপুর গ্রামের নিজ বাড়ীর সামনে প্রতিবেশী দোলা ভাইয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল তার বাচ্চাদের সাথে খেলা করার জন্য।
কিন্তু ঘর থেকে বের হয়ে শিশুটি বাড়ীর উঠান পর্যন্ত গেলে প্রতিবেশী চায়ের দোকানদার লম্পট যুবক শিশুটির মুখ ও হাত চেঁপে ধরে পাশে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শরীরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এ সময় শিশুটি চিৎকার দিলে ঘর থেকে তার মা বাহিরে এসে দেখতে পায় মেয়ে মাটিতে উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে আছে আর লম্পট যুবক মাকে দেখে পালিয়ে যায়। পরে মেয়ের মুখ থেকে ঘটনা শুনে হতাবাক মা।
ওই রাতেই মেয়েকে গোসল করিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে বিষয়টি জানালে তার পরামর্শে ভিকটিমসহ তার পিতা-মাতা থানায় হাজির হয়ে লম্পট যুবকের লালসার শিকার হওয়া শিশুটি থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর উল গীয়াসের নিকট ঘটনার বয়ান পেশ করেন। বয়ান শুনে থানার অফিসার ইনচার্জ মুনীর উল গীয়াস ভিকটিম পরিবারকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলেন।
সেই মোতাবেক বেশী রাত হওয়ায় ভিকটিম পরিবার লম্পট যুবকের বিরুদ্ধে সকালে এসে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানানো হয়। ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে লম্পট যুবক গ্রেফতার এড়াতে পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে সোনাবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম বলেন, শুনেছি এমন একটি জঘন্য কাজ করা হয়েছে ৫ বছরের শিশু বাচ্চাটির উপর।
তার পরামর্শে ভিকটিম পরিবারকে থানা পুলিশকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে। তার পিতা- মাতারা ভিকটিম শিশুকে নিয়ে থানায় হাজির রয়েছেন বলে তিনি জানান।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিলো বলে জানা যায়।