পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বি এন পি না যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছে। দলের নেতারা বলছে চিঠি পেয়েছে কিন্তু তারা তা গ্রহন করেনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কারন হিসাবে দলটি বলছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পানিতে চুবানোর কথা বলেছেন তাই গোস্মা করেছে তারা।
বি এন পি এই অনুষ্ঠানে না গেলে কি হবে? কেউ কি দু:খ পাবে? যারা দু:খ পাবে তারা কি জানে বেগম জিয়া পদ্মা সেতু নিয়ে কি কি বলেছেন? তিনি বলেছেন “সরকার এই সেতু নির্মান করতে পারবেনা”। তিনি আরও বলেছেন “জোড়াতালি দিয়ে সেতু নির্মান করলেও এই সেতুতে উঠার রিস্ক আছে, ভেঙ্গে পরতে পারে”।
এছাড়াও বিদেশী দালাল নিয়োগ করে বিশ্ব ব্যংকের টাকা ফেরৎ পাঠানোর ষড়যন্ত্র করেছে বি এন পি। কিন্তু সরকার যখন দেশীয় অর্থায়নে সেতু নির্মান করে ফেলেছে, এখন দলের নেতারা দাবী করছে খালেদা জিয়াই এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছে! এই দাবী সত্য হলে সেই চিহ্নটি কোথায়? এখন যখন সেতু উদ্বোধনের সময় হয়েছে, দলের নেতারা বিদ্রুপ করছে পদ্মা সেতু নিয়ে। বলছে এই সেতুর চাইতেও গুরত্বপূর্ন কাজটি হল দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। এবং বি এন পি’ই সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে দেশে।
বেগম খালেদা জিয়া দুইবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তৃতীয়বারও শপথ নিয়েছিলেন গণতন্ত্রকে হত্যা করে। দুইবার ক্ষমতায় গিয়ে চরম দুর্দশায় নিয়ে গিয়েছিলেন দেশকে। পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে খাম্বা দেখিয়ে অর্থ লোপাট করে বিদেশে সম্পদ গড়েছে। এতিমের টাকাও রেহায় পায়নি বেগম জিয়ার হাতে। এখন পদ্মা সেতু নিয়ে এত কথা কেন? এতদিন ক্ষমতায় ছিলেন, অন্তত একটি অর্জন দেখিয়ে বলুন “এটা আমরা করেছি”।
বি এন পি’র ইতিহাস জনগন ভুলে গেছে ভাবা সঠিক নয়। যারা দেশের এই অর্জনকে কটাক্ষ করে তাদের সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না যাওয়াই উচিৎ হবে। সত্যটি বি এন পি’ও জানে তাই অযুহাত দেখিয়ে অনুষ্ঠানে না যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছে। অন্তর্জালায় ভুগে অসত্য কথা বললেও বি এন পি জানে দলটির কোন অর্জন নেই। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষের অহঙ্কার, বাঙালীর সাহসের অঙ্গীকার। পদ্মা সেতু ৭১ এর পর আবারও প্রমান করেছে “বাঙালী অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। আবারও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই বাবার মত দু:সাহস দেখিয়েছেন। প্রমত্তা পদ্মার উপর দিয়েই পারাপার হবে বাঙালী। জয় বাংলা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা।