পদ্মা সেতু নির্মিত হয়ে যাওয়ায় বি এন পি নেতারা এখন মিথ্যাচার করছে। ভুল এবং অসত্য তথ্য দিয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। লন্ডনে বসে তারেক জিয়াও একই অভিযোগ করছে। তাদের দাবী এই সেতু নির্মানে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। তারেক আরও একটু বাড়িয়ে দাবী করেছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। রিজভী আহাম্মদ বলেছেন চীনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋন নিয়ে এই সেতু নির্মান করেছে সরকার।
সরকার ছাড়াও বহু মানুষ যারা এই সেতু নির্মানে জড়িত ছিলেন, তারা খরচের একটি হিসাব দিয়েছেন। সেই হিসাব মতে পদ্মা সেতুর প্রাথমিক নকশা অনুযায়ী শুধুমাত্র গাড়ী চলাচলের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেখানে রেল লাইন ছিলনা। এখন যে সেতু নির্মিত হল তা দ্বিতল বিশিষ্ঠ এবং রেল লাইন, গ্যস লাইন যুক্ত হয়েছে। পদ্মার স্রোত ঠেকাতে দুইপারে ১৬ মাইল নদী শাসন করতে ব্যয় হয়েছে সাড়া ৮ হাজার কোটি টাকা। প্রতিটি পিলারে ৫০ হাজার টন ঢালাই ফেলতে হয়েছে। এ সব কেবল মোটা দাগের খরচ। এছাড়াও ৪ লেনের রাস্তা নির্মানে বাড়তি ব্যয় হয়েছে যা প্রাথমিক পরিকল্পনায় ছিলনা। এই বাড়তি খরচ কি কেউ এসে দিয়ে গেছে? বি এন পি নেতারা কি মূর্খ না বিবেকহী? এই সাধারন অঙ্কটিও বোঝার যোগ্যতা কি নেই তাদের?
জাতীয় সংসদে রুমিন ফারহানা আর হারুন প্রতিদিন পদ্মা সেতুর নির্মান খরচ নিয়ে আজগুবি মিথ্যাচার করছে। সংসদ সদস্য হিসাবে তাদের এখন একটাই কাজ, মিথাচার করা। সরকারের এত সাফল্যের পরেও বি এন পি নেতারা তা দেখতে পাননা। সরকারকে বেআইনী আখ্যা দিয়ে পদত্যগ দ্বাবী করছে। হুঙ্কার দিচ্ছে আন্দোলনের। অ্যান্দোলন করতে হলে জনগনের সমর্থন লাগে। কিন্তু বি এন পি নেতাদের বক্তব্য বিবৃতি শুনে জনগন এখন হাসে।
আজিজুর রহমান প্রিন্স, কলামিস্ট ও আওয়ামীলীগ নেতা, টরন্টো, কানাডা।