এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে আজ বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাজিরা প্রান্তে বসছে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর সপ্তম স্প্যান। এটি বসানোর মধ্য দিয়ে নদীর দু’প্রান্তে দৃশ্যমান হবে সেতুর ১২শ’ মিটার। এর আগে মাওয়া প্রান্তে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। ফলে, নতুন স্প্যানটি বসানো হলে পদ্মা সেতুতে মোট স্প্যানের সংখ্যা হবে আট।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে নদীর মাওয়া প্রান্ত থেকে এ দুটি পিলারের দিকে রওয়ানা হয়েছে স্প্যানবাহী ক্রেনটি।
কেটে গেছে নকশা জটিলতা, শুকনো মৌসুম বলে প্রমত্তা পদ্মায় নেই তীব্র স্রোতের দাপট। সময়টা অনুকূলে, আর সেটাকে কাজে লাগিয়ে নদী জুড়ে এখন চলছে কাজ।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতু দৃশ্যমান করার কাজ শুরু হয়। গত বছরের জুনে ৫ম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় ৬ পিলারের একটি মডিউলের কাজ। তার পাশেই নতুন মডিউলের প্রথম আর জাজিরা প্রান্তে ৬ষ্ঠ স্প্যানটি বসানো হয় গত মাসের ২৩ তারিখ। এবার অপেক্ষা জাজিরা প্রান্তের সপ্তম স্প্যান বসানোর।
মঙ্গলবার সকাল ৭টায় শুরু হয় মাওয়া ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি নির্ধারিত ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কাজ। প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের এ পিলারের কাছে নিয়ে যেতে পুরো একদিন সময় লাগে।
তবে এবার স্প্যানবাহী ৩৬শ’ মেট্রিক টন ওজন বহনে সক্ষম ক্রেনটি মাওয়া থেকে শুরুতে সর্বোচ্চ গতিবেগে নিয়ে যাওয়া হবে চাঁদপুরে দিকে ভাটিতে। এখন নদীতে স্রোত কম থাকায় বর্ষা মৌসুমে তীব্র স্রোতের বিপরীতে ক্রেনটি কতটা কাজ করতে সক্ষম হবে, সেটি পরীক্ষা করতেই এটিকে ভাটির দিকে ৭ কিলোমিটার পথ ঘুরিয়ে নির্ধারিত পিলারের কাছে নেয়া হবে।
পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, মাওয়া থেকে স্প্যানটি ৩ হাজার ৬শ’ টন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ক্রেনে তুলে জাজিরা প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বুধবার সকালে পিলারের ওপর এটি তোলা হবে।
নদীর জাজিরা প্রান্তে আগের ৩৬ নম্বর পিলার থেকে এগিয়ে মাওয়া প্রান্তের দিকে ৩৫ নম্বর পিলারের মধ্যে যোগ হবে নতুন স্প্যানটি। এছাড়া ৩৪ নম্বর পিলারও শতভাগ প্রস্তুত করে তোলায় কিছুদিনের মধ্যে আরও একটি স্প্যান বসানো সম্ভব হবে।