নেপালে ৬.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। এই সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির গনমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার গভীর রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। নেপালের ন্যাশনাল ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জাজারকোট জেলা। শনিবার ভোররাত পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্যানুসারে, জাজারকোট এবং পশ্চিম রুকুমে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জাজারকোটের জেলার সরকারি কর্মকর্তা সুরেশ কুমার সুনার জানিয়েছেন, রাতেই বহু মানুষকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ চালানো হচ্ছে তৎপরতার সঙ্গে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। রাতেই জরুরি ভিত্তিতে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে আরো বলা হয়েছে, জাজারকোট জেলার ভেরি, নালগাদ, কুশে, বেরেকোট এবং চেদাগড় ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে। প্রধান জেলা কর্মকর্তা সুরেশ সুনার জানিয়েছেন, জেলার সমস্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে তল্লাশি ও উদ্ধার কাজে জড়ো করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২২ অক্টোবর ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঠমান্ডু উপত্যকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো কেঁপে ওঠে। তবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর ছিল না।
প্রসঙ্গত, নেপালে ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা। দেশটি তিব্বতীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলোর মিলনস্থলে অবস্থিত। প্রতি শতাব্দীতে এটি অপরের দুই মিটার কাছাকাছি অবস্থান করে, যার ফলে চাপ সৃষ্টি হয় যা ভূমিকম্প হয়। গত ২০১৫ সালে একটি ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার লোকের মৃত্যু হয় নেপালে। নেপাল বিশ্বের ১১তম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৪:৩৫ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি