মো. কামরুজ্জামান, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি : নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার গুমাই নদীতে
ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত ১০ জনের ৯ জনই সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বাসিন্দা। নিহত আরেকজনের বাড়ি নেত্রকোনা সদরে। আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ধর্মপাশা উপজেলার ইনাতনগর গ্রামের ওয়াহাব আলীর স্ত্রী লুৎফুন্নাহার, তার আড়াই বছরের ছেলে ইয়াসিন, একই গ্রামের সাহেব আলীর স্ত্রী মজিদা আক্তার (৫০), জামালপুর গ্রামের জোবাইরের ছেলে মোজাহিদ (৪), একই গ্রামের আব্দুল করিমের সুলতানা আক্তার (৪৫), মধ্যনগর এলাকার কামারউড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে অনিক (৭), একই গ্রামের হাবিকুলের স্ত্রী লাকি আক্তার (৩০), তার দুই শিশু সন্তান টুম্পা আক্তার (৫) ও জাহিদ হোসেন (৩) এবং নেত্রকোনা সদরের মেদনী গ্রামের আবুচানের স্ত্রী হামিদা খাতুন (৪৫)।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার মধ্যনগর থেকে ৩৬ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার নেত্রকোনা সদরের ঠাকুরাকোনার দিকে আসছিল।কলমাকান্দার রাজনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী কার্গোর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় যাত্রীবাহী ট্রলারটির। এতে ডুবে যায় যাত্রীবাহী ট্রলারটি। পরে স্থানীয়রা এসে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। এদের মধ্যে ০৫ জন শিশু।
জানাযায়, নিহতদের পরিবারকে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি বলেন, ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে
আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।