মো. কামরুজ্জামান, নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা ঈশ্বরগঞ্জ সড়কের কাইলাটী ঝিনজিনিয়া ব্রিজের পাশে ৪ শতক জমির উপর বাড়ি সেখানে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছে মনু মিয়া ও তার পরিবার।
গত ১৯/২০ অর্থ বছরের নেত্রকোণা টু ঈশ্বরগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তা সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য মনু মিয়ার ভূমি অধিগ্রহনের নামে ৪ শতক জমি নিয়ে যায় রেজবী কনশাকসন। এর মধ্যে জেলা প্রশাসন ও সড়ক জনপথ অফিসের সার্ভেয়ারগণ সরেজমিনে গিয়ে ধাপে ধাপে পরিমাপ করে জমির মালিকদেরকে জানিয়েছেন আপনাদের জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। আপনাদের পাওনা আপনাদেরকে দিয়ে দেওয়া হবে। রাস্তার কাজ ঠিকই বহাল রয়েছে কিন্ত অসহায় দরিদ্র মনু মিয়ার দিকে কেউ সু-নজর দেয় নি। তার বাড়ি উপর দিয়ে রাস্তা হয়েছে অথচ এখন পর্যন্ত সে কোন টাকা পেল না। সেই ভূমি অধিগ্রহনের টাকা চাইতে গেলে দেই দিব দিচ্ছি বলে সময় পার করছে ঠিকাদার।
এই বাইপাস সড়কে শুধু এই সমস্যাই নয় আরো অনেক সমস্যা রয়েছে রাস্তার উপর ঘর বাড়ি রেখে দায় সারা করছে ঠিকাদার ।
নেত্রকোনা জেলা সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোণা থেকে ঈশ্বরগঞ্জ পর্যন্ত ২৮ কি.মি.৫০০ মিটার রাস্তা টাকার হিসাব হবে জমি অধিগ্রহনের টাকা দেওয়ার পর। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মনু মিয়ার বাড়ির ৪ শতক জমির মধ্যে দুই শতক রাস্তায় নিয়ে গেছে বাকি জমির উপর তার বাড়ি । বাড়ি থেকে রাস্তার উচ্চতা হল প্রায় ৩০ ফুট । রাস্তার পাশ থেকে মাটি ধসে পরলে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে যে কোন সময়। এমনকি পরিবারের সবাই মরেও যেতে পারে। এই ঝুকি পূর্ন অবস্থায় মনু মিয়ার তিন মেয়ে ও তার স্ত্রী সহ পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে আতংকের মধ্যে বসবাস করছে। এতে করে যে কোন সময় পরিবারটির প্রাণ নাশের ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে মনু মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি একজন গরীব মানুষ একটি চায়ের স্টল দিয়ে কোন মতে তিন মেয়েকে নিয়ে দিন রাত পার করছি । এই রাস্তাটি আমার সব আশা ভরসা শেষ করে দিয়েছে। আমি এখন তিন মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাব। ঠিকাদারের কাছে টাকা চাইতে গেলে হুমকি দমকিস্বরুপ আচরণ করছে। সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন আমাকে এই স্থান থেকে যেন মুক্তি দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী জানান এত ঝুকির মধ্যে এই পরিবারটি কি ভাবে বসবাস করছে এটা ভাবনার বিষয় । কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবী এই পরিবারটিকে এখান থেকে উদ্ধার করে অন্যত্র যেন সরিয়ে নেওয়া হয়।
নেত্রকোণা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী সওজ, মোঃ হামিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জমি অধিগ্রহনের টাকার ব্যাপারে বলেন, এটা হল জেলা প্রশাসনের কাজ আমরা কিছু বলতে পারব না।