নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নেত্রকোণার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সীমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দা ও দূর্গাপুরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বেশী। পানি বৃদ্ধির কারনে অসংখ্য রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে পানিতে তলিয়ে ভেসে গেছে তিন সহস্রাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ।
প্রশাসন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে,কলমাকান্দা উপজেলা সদরসহ বড়খাপন, পোগলা, খারনৈ, লেঙ্গুরা, নাজিরপুর ও রংছাতি ইউনিয়নের পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি খারাপ।
এ ছাড়া দূর্গাপুর উপজেলা সদরসহ কুল্লাগড়া, গাওকান্দিয়া ইউনিয়নে মানুষের বাড়িঘর, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে এখন বন্যার পানিতে প্লাবিত। দুই উপজেলার সঙ্গে প্রায় সবকটি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানি বন্ধি হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। দুই উপজেলার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার কংস, মোমেশ্বরী, ধনু, উব্দাখালিসহ ছোট-বড় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন,বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।এরই মধ্যে বন্যা কবলিত প্রতিটি উপজেলায় ২০ মেট্রিক টন করে চাল ও নগদ দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শুকনো খাবারসহ ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।