নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটিতে ঐতিহ্যবাহী চিলাহাটি জামেউল উলুম ফাজিল মাদ্রাসায় ০৮ (সেপ্টেম্বর) ২০২৪ ইং তারিখে মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক এ.কে.এম ইলিয়াছের বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থী , বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে চিলাহাটি ছাত্রসমাজ, সহ অত্র এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীরা মানবন্ধন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঐ শিক্ষককে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
জানা যায় অত্র মাদ্রাসার বিভিন্ন অবকাঠামগত উন্নয়ন সহ মাদ্রাসার পুনর্গঠনের জন্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা গত ২৮ আগস্ট বুধবার তারিখে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জনাব মোঃ জাকির হোসেনের নিকট ৮ দফা দাবী পেশ করে ঐদিনই অধ্যক্ষ মহোদয় দাবীগুলো মেনে নেয় এবং বিপরীতে শির্থীদের ঐ ৮ দফার পরিক্ষিতে ২-১ দিনের একটি লিখিত কাগজ দেওয়ার কথা ছিল।কিন্তু সেটি দিতে কালক্ষেপন করলে ০১ সেপ্টেম্বর রবিবার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে মোঃ আঃ রহমান ও মোঃ তুহিন ইসলাম মাদ্রাসার দায়িত্বরত শিক্ষক এ.কে.এম ইলিয়াছের সেই কাগজ চাইতে গেলে হোসেনের কাছে গেলে প্রথমবার তিনি বলেন যে, ব্যস্ত আছেন পরে দেখা করেতে বলেন। পরবর্তীতে ২ জন শিক্ষার্থী পূনরায় তাহার কাছে কাগজ চাইতে গেলে তিনি তাদের উপর চোড়াও হন, অকঠ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তারা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেলেও তাদেরকে বলেন তারা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী না তারা কেন এসব আন্দোলন করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় (ডোমার) এর নিকট তাদের শাস্তির ব্যাপরে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান।
এরই প্রেক্ষিতে আজ মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ছাত্র সহ আশেপাশের সকল শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে আনুমানিক সকাল ১১ টায় ব্যানার হাতে নিয়ে ইলিয়াছে সাহেবের বিচারের দাবীতে চিলাহাটির বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে পরবর্তীতে মাদ্রাসার গেইটের সামনে তারা বক্তব্য রাখে । বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন অত্র মাদ্রাসাটি একটি সুনামধন্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান এই মাদ্রাসাটির অনেক জমি জায়গা রয়েছে মোবাইল টাওয়ার দুটি রয়েছে যা থেকে বাৎসরিক আয় আসে ,মাদ্রাসার দোকান ভাড়া রয়েছে ,তার পরও অত্র মাদ্রাসা একদম অবহেলিত আমরা আমাদের ন্যায্য ৮ টি দাবী তুলে ধরেছি সেটি আমাদের ন্যায্য এবং যুক্তিসংগত দাবী ছিল ।কিন্তু তারা জানান অত্র মাদ্রাসার সহকারী অধ্যপক এ.কে.এম ইলিয়াছ সারের নিকট রবিবার কাগজ চাইতে গেলে আমাদের ২ জনের উপর যে আচরণ করেন তা স্বৈরাচারী আচরণ তিনি শিক্ষকের বেসে কোন আচরণ করেননি।তারা তার কঠোর বিচার দাবী জানান।
অতপর দুপুরের দিকে মাদ্রাসা অধক্ষের সহি স্বাক্ষর সম্বলিত অত্র মাদ্রাসার পেডের কাগজে অত্র শিক্ষককে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং তাকে ২ বছর মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম থেকে অব্যহতি প্রদান করে।
আজ ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শরৎকাল | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৭:০৭ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি