নীলফামারীতে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এই ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) জেলার সদর উপজেলার দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলস কলোনী মাঠে ফজরের নামাজের পরে বয়ান পেশের মাধ্যমে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ঢাকা কাকরাইল জামে মসজিদের খতিব ও বাংলাদেশ তাবলিক জামায়াতের সুরা সদস্য মাওলানা মোশারফ হোসেন এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
আয়োজক কমিটির সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা কাকরাইল মসজিদের খতিবসহ বিভিন্ন দেশের অনেক ইসলামিক চিন্তাবিদরা উপস্থিত হয়েছেন এবারের ইজতেমায়। মানব কল্যাণের পাশাপাশি তারা দ্বীনের দাওয়াত, ধর্ম ও আখিরাত সম্বন্ধে মূল্যবান বয়ান পেশ করবেন। এছাড়াও একদিন আগে থেকেই এখানে উপস্থিত হয়েছেন দেশের প্রতি জেলার তাবলিক জামায়াতের কমিটির সদস্যরা ও ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমানরা।
✪ আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও জেলা যুব মৈত্রী সম্মেলনে সভাপতি আলমগীর ও সম্পাদক আজিম
জেলা তাবলীগ জামায়াতের আমীর ও নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দিদারুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বয়ান পেশের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শনিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে লোকজন এসেছেন। শান্তিপূর্ণ ভাবে এটি শেষ হবে।
ইজতেমা ঘিরে পুরো এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইজতেমা এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। পুলিশের অনান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারিও রয়েছে।
এদিকে ইজতেমা প্রাঙ্গণে জসো উদ্দিন নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাতে ইজেতেমা প্রাঙ্গনে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান তিনি।
✪ আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেলে যান চলাচল জানুয়ারিতে : মুখ্যসচিব
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরের ডোমার উপজেলার গোমনাতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। জসো উদ্দিন ওই এলাকার কাচুয়া মামুদের ছেলে।