পা হারানো রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা না দিলে নিলামে তোলা হবে গ্রিন লাইনের বাস। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হবে রাস্তায় চলাচলও। জানিয়েছেন আদালত। গ্রিন লাইনের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সাত্তারের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকারচালকের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
গত বছরের ১৪ মে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন সাবেক সাংসদ আইনজীবী উম্মে কুলসুম। রিটের প্রাথমিক শুনানিতে গত ৬ মার্চ রাসেল আদালতকে বলেছিলেন, পা হারানোর পর গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা করেনি। এরপর গত ১২ মার্চ গ্রিন লাইন পরিবহনের ব্যাখ্যা শুনে হাই কোর্ট দুই সপ্তাহের মধ্যে রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেয়।
বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে আবারো শুনানি শুরু হয়।এসময় আদালতের আদেশের পরেও রাসেলকে ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন দুই বিচারপতি।
১০ এপ্রিলের মধ্যে প্রাইভেটকার চালক রাসেলকে ক্ষতিপূরণ না দিলে ১১ এপ্রিল থেকে গ্রিন লাইন পরিবহনের সব ধরনের টিকেট বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেয় আদালত। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয় জানিয়ে আদালত আরো বলেন, ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ না করলে প্রয়োজনে গ্রীন লাইন পরিবহনের সব গাড়ির চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। সব গাড়ি সিজ করে নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করে রাসেলকে টাকা দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য আদালতের।