নূর মোহাম্মদ সম্রাট, বগুড়া প্রতিনিধিঃ নাগর-নদী এখন বগুড়ার কাহালু ও দুপচাঁচিয়া এবং শিবগঞ্জ উপজেলার কতিপয় বালু ও ভূমি দুস্যদের দখলে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ নজর দিবেন কি?। নাগরনদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন শ্যালো মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে শত শত ট্রাক বালূ ও স্কেভেটর মেশিন দিয়ে নদীর পাড় কেটে ট্রাক দিয়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়।
ফলে নদীর আশে পাশের গ্রামের বাড়ীঘর ও আবাদি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভ্যবনা রয়েছে। ফলে বেপরোয়া ভাবে কাহালু ও দুপচাঁচিয়া এবং শিবগঞ্জের কতিপয় বালু ও ভূমি দুস্যরা নাগরনদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করছে শত শত ট্রাক বালূ ও স্কেভেটর মেশিন দিয়ে নদীর পাড় কেটে ট্রাক দিয়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছে।
কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের মদনাই বউ বাজার পয়েন্ট, মদনাই শ্বশান ঘাটি পয়েন্ট, আঠালিয়া সপ্তগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তরে জামতলা পয়েন্ট, কালই ইউনিয়নের উত্তর নাটাইপাড়ার কালিমা পাড়ায় পয়েন্ট ও পাইকপাড়া পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন ভূমি দস্যুরা শত শত ট্রাক মাটি ও বালু বিভিন্ন ইট ভাটা সহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। নাগরনদীর আশে পাশের গ্রাম গুলো দিনদিন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। নদীর আশে পাশের আবাদী জমি বছরে বছরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
নদীর তীরবর্তী অনেক বাড়ীঘর হুমকির মূখে পড়ছে। মাঝে মধ্যে প্রশাসন দু-একটি ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করলেও মূল পয়েন্টের বালু ও ভূমি দুস্যরা থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বালু ও ভূমি দুস্যরা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার জনসাধারণ প্রতিবাদ করেও কোন সমস্যা সমাধান করতে পারছে না তারা। ববং উল্টো ভূমি দুস্যরা তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
অত্র এলাকার জনসাধারণ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে কাহালু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সবুজ কুমার বসাক এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, আমি সহ ইউএনও স্যার মাঝে মধ্যে নাগরনদীতে ভ্রাম্যমান আদালত অব্যাহত রখেছে। কিন্তু তারা যেতে না যেতেই মেশিন সহ তারা গোপন করে।
তিনি আরও জানান, পুনরায় তিনি বিকল্প পদ্ধতিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ সকল ভূমি দস্যুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।