আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নতুন সড়ক আইনটি বাস্তবায়ন ও প্রয়োগে কিছু সমস্যা থাকার কারণে আইনটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এ আইন পূর্ণাঙ্গ কার্যকরের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
আজ মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ সড়ক চাই আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকেওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরটিভি সিইও সৈয়দ আশিকুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিগত ১২ বছরে ব্যাপক যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে সরকার। তবে আমাদের এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি যতদূর এগোনের কথা, ততদূর আমরা এগুতে পারিনি। নতুন সড়ক আইন আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। আমরা যদি সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে না পারি, তা হলে আমাদের উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন সড়ক আইনটি বাস্তবায়ন ও প্রয়োগে কিছু সমস্যা আছে, যার কারণে আইনটি বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। মানুষ এখন ট্রাফিক আইন মানতে চান না, পথচারীরা পথ চলার নিয়ম মানতে চান না। এ বিষয়ে সচেতনতা জরুরি।
সড়কের পাশে যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধে পরিকল্পিত বাসস্টপেজ নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত গতিরোধক দুর্ঘটনা ঘটায়, তাই সাড়ে পাঁচশ অপরিকল্পিত গতিরোধক এরই মাঝে অপসারণ করা হয়েছে।
আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে উন্নত বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও চালু করা হয়েছে রোড সেফটি অডিট উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সড়ক ও অধিদফতরের আওতাধীন প্রায় পাঁচশ কিলোমিটার মহাসড়কে রোড সেফটি অডিট পরিচালনা করা হয়েছে। বর্তমানে তিনশ কিলোমিটারে অডিট কার্যক্রম চলমান। এছাড়া বিগত এক যুগে প্রায় সাড়ে চারশ কিলোমিটার মহাসড়ক চার বা আরও বেশি লেনে উন্নীত করা হয়েছে। গাড়িচালক বিশেষ করে ট্রাকচালকদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে নির্মাণ করা হচ্ছে চারটি বিশ্রামাগার বলে জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমিয়ে আনতে হাইওয়ে পুলিশের জনবল ও সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গাড়িচালকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনোভাবেই বেপরোয়া গাড়ি চালানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে মালিক শ্রমিকদের গাড়িচালকদের কাউন্সেলিং করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।