কেন্দ্রীয় সম্মেলনের ২ মাস বাকি থাকলেও সম্পন্ন হয়নি আওয়ামী লীগের ৭৮টি জেলা ও মহানগরী ইউনিটের মধ্যে ৭৭টির সম্মেলন। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের ব্যাপারে।
তবে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে নেতারা বলেছেন, সম্মেলন উপলক্ষে নতুন উদ্যোমে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। এবারের সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব আসছে বলেও ইঙ্গিত দেন তারা। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ সব কমিটির সম্মেলন সম্পন্ন করতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকমান্ড।
২০১৬ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন। এরপর পুরো সময়ে সম্পন্ন হয়েছে মাত্র একটি জেলা ইউনিটের সম্মেলন।
দলের হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ এসেছে, মূল সম্মেলনের আগে ডিসেম্বরের প্রথম ভাগেই মেয়াদোত্তীর্ণ সব ইউনিটের সম্মেলন সম্পন্ন করতে হবে।
চ্যালেঞ্জিং হলেও, নির্ধারিত সময়ে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব বলে জানালেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, জেলা থেকে আসা কাউন্সিলরদের লিস্টটাই আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি আগামী ২ মাসের মধ্যেই আমরা সব লিস্ট তৈরি করে ফেলতে পারব। এ ছাড়াও যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলোও সমাধান হয়ে যাবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল করতে এসব কোনো বাধাই নয়।
সম্মেলন সফল করতে এরই মধ্যে ৮ ভাগে ভাগ হয়ে দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর শুরু করেছে দলটি। বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই গঠন করা হবে সম্মেলনের সবগুলো প্রস্তুতি কমিটি। আওয়ামী লীগের এ নীতি নির্ধারক বলছেন, নির্বাচনসহ নানা কারণে সাংগঠনিক স্থবিরতা বিপরীতে নতুন চমক থাকবে এবারের সম্মেলনে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দলকে চাঙা করতে হলে মেধাবী ও তরুণ নেতৃত্ব প্রয়োজন। আমাদের নেত্রী সেটিকে মাথায় রেখেই এগুচ্ছেন। তিনি সংসদেও নতুনদের সুযোগ দিয়েছেন, দলকে চাঙা করতে আগামীতেও অনেক নতুন মুখকে সমানে নিয়ে আসবেন। কার হাতে দলটি ছেড়ে দিয়ে যাবেন, এটিই এখন নেত্রীর চাওয়া।
কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় অক্টোবরে সম্মেলন করার কথা থাকলেও ডিসেম্বরের ২১ থেকে ২২ তারিখ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।