কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলায় চলতি বছর আসন্ন কুরবানীকে সামনে রেখে মোট ৪ লাভ ৩৩ হাজার ৭৩টি পশু লালন পালন করেছেন খামারীরা। জেলার ১১টি উপজেলায় মোট ২০ হাজার ৪শ ২ জন খামারী এসব পশু লালন পালন করেছেন।
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মহির উদ্দিন জানিয়েছেন লালিত পালিত পশুর মধ্যে রয়েছে ৬৭ হাজার ৮শ ১০টি ষাড়, ২৪ হাজার ৬শ ৪৪টি বলদ, ৪৬ হাজার ২শ ৫৭টি গাভী ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬শ ২৯টি ছাগল এবং ৩৫ হাজার ৯শ ৭৫টি ভেড়া এবং ১ হাজার ৪শ ৮৮টি মহিষ।
জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের দেয়া তখ্য অনুযায়ী, উপজেলা ভিত্তিক হৃষ্ট-পুষ্টকরনকৃত কুরবানীর পশুর সংখ্য্ধাসঢ়; হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ২ হাজার ১শ ৩৪টি খামারে ষাড় ৬ হাজার ৬শ ৬৯টি, বলদ ২ হাজার ৮শ ৬৯টি, গাভি ১ হাজার ৮শ ৫১টি, ছাগল ২৭ হাজার ৬শ ৫৮টি ও ভেড়া ৩ হাজার ৩শ ৭৩টিসহ সর্বমোট ৪২ হাজার ৪শ ২০টি।
রানীনগর উপজেলায় ১ হাজার ৮শ ৬৫টি খামারে ৭ হাজার ১শ ৮৮টি ষাড়, ১ হাজার ৬শ ২টি বলদ, ৩ হাজার ২শ ৫১টি গাভি, ৮৯টি মহিষ, ২৬ হাজার ৮শ ৬৩টি ছাগল ও ২ হাজার ৭শ ৪৮টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৪১ হাজার ৭শ ৪১টি।
আত্রাই উপজেলায় ৭শ ১টি খামারে ৩ হাজার ৫শ ৬৩টি ষাড়, ৯শ ২১টি বলদ, ২ হাজার ৯শ ৯৫টি গাভি, ১৫ হাজার ৫শ ৭৯টি ছাগল ও ১ হাজার ৭শ ২৫টি ভেড়াসহ সর্বমোট ২৪ হাজার ৭শ ৮৩টি।
বদলগাছি উপজেলায় ১ হাজার ২শ ১৬টি খামারে ৪ হাজার ৩শ ৫৬টি ষাড়, ১ হাজার ১শ ৬৭টি বলদ, ২ হাজার ৭শ ৩০টি গাভি, ২২ হাজার ১শ ৭৯টি ছাগল ও ১ হাজার ৯শ ৪৭টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৩২ হাজার ৩শ ৭৯টি।
মহাদেবপুর উপজেলায় ১ হাজার ৪শ ৪টি খামারে ৮ হাজার ৯শ ৩৯টি ষাড়, ৪ হাজার ১শ ৫টি বলদ, ২ হাজার ৯শ ৬৫টি গাভি, ২৪ হাজার ৬শ ৮৯টি ছাগল ও ৩ হাজার ৬শ ২১টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৪২ হাজার ৫শ ৮৯টি।
পত্নীতলা উপজেলায় ১ হাজার ৭শ ২০টি খামারে ৭ হাজার ৬শ ৩৩টি ষাড়, ১ হাজার ৯শ ৯২টি বলদ, ৩ হাজার ২শ ৭৭টি গাভি, ৩০ হাজার ৪শ ৮৮টি ছাগল ও ৩ হাজার ৪শ ২০টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৪৬ হাজার ৮শ ১০টি।
ধামইরহাট উপজেলায় ১ হাজার ৯শ ১৮টি খামারে ৬ হাজার ৮শ ২০টি ষাড়, ১ হাজার ৭শ ৫২টি বলদ, ৮ হাজার ৫১টি গাভি, ২৪ হাজার ৭শ ২২টি ছাগল ও ৩ হাজার ৪শ ৫০টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৪৪ হাজার ৮শ ২৫টি।
সাপাহার উপজেলায় ২ হাজার ২শ ৫৬টি খামারে ৩ হাজার ১শ ৮৭টি ষাড়, ২ হাজার ৪শ ৭৯টি বলদ, ৪ হাজার ৬৫টি গাভি, ৪টি মহিষ, ১৭ হাজার ২শ ৩টি ছাগল ও ১ হাজার ৮শ ২৮টি ভেড়াসহ সর্বমোট ২৮ হাজার ৭শ ৬৬টি।
পোরশা উপজেলায় ১ হাজার ৬শ ৫০টি খামারে ৩ হাজার ৮শ ৮৬টি ষাড়, ১ হাজার ৪শ ৯৪টি বলদ, ৭ হাজার ১শ ৫৮টি গাভি, ১ হাজার ২শ ৯৪টি মহিষ, ১৬ হাজার ২শ ২৯টি ছাগল ও ৩ হাজার ৩শ ৭৫টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৩৩ হাজার ৪শ ৩৬টি।
নিয়ামতপুর উপজেলায় ১ হাজার ২শ ৭টি খামারে ৫ হাজার ৭শ ৭২টি ষাড়, ১ হাজার ৭শ ২২টি বলদ, ১ হাজার ৬শ ৯৩টি গাভি, ৯টি মহিষ, ২১ হাজার ৪৪টি ছাগল ও ১ হাজার ৮শ ৫৬টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৩২ হাজার ৯৬টি।
মান্দা উপজেলায় ৪ হাজার ৩শ ১টি খামারে ৯ হাজার ৭শ ৯৭টি ষাড়, ৪ হাজার ৫শ ৪১টি বলদ, ৮ হাজার ২শ ২১টি গাভি, ৬২টি মহিষ, ৩১ হাজার ৯শ ৭৫টি ছাগল ও ৮ হাজার ৬শ ৩২টি ভেড়াসহ সর্বমোট ৬৩ হাজার ২শ ২৮টি ।
জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগসূত্রে জানা গেছে এ জেলায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত কুরবানীর পশু প্রতিপালিত হয়েছে। কাজেই বাহির থেকে কুরবানীর পশু আমদানী করারর প্রয়োজন নেই।